চট্টগ্রাম ব্যুরো: চুক্তি নবায়ন নিয়ে জটিলতায় বেতন বন্ধ থাকা চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ৩০ অস্থায়ী কর্মচারীকে বেতন-ভাতা দেওয়ার জন্য ৯ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এ টাকায় তাদের পাঁচ মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বী।
রোববার (১৮ জুলাই) নগরীর আন্দরকিল্লায় জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বীর হাতে নগদ ৯ লাখ টাকা দেন উপমন্ত্রী।
অনুদান প্রদানের সময় স্থানীয় সাংসদ উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘করোনার সংকট কাটিয়ে উঠতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। উনার একার বা সরকারের একক প্রচেষ্টায় এই সংকট কাটিয়ে ওঠা অনেক কঠিন। তাই আমাদের যার যার অবস্থান থেকে সংকট উত্তরণে এগিয়ে আসতে হবে। করোনাভাইরাসকে প্রতিহত করতে হলে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বিকল্প নেই।’
সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি জানিয়েছেন, আউসোর্সিংয়ের ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া পরিচ্ছন্নতাকর্মী, আয়া, ওয়ার্ড বয়সহ ৩০ কর্মচারীর বেতন-ভাতা কয়েক মাস ধরে বন্ধ আছে। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন সংক্রান্ত জটিলতার কারণে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মাসের পর মাস বেতন না পেয়ে তাদের মানবেতরভাবে দিন কাটাতে হচ্ছে। এ অবস্থায় উপমন্ত্রীর দেওয়া অনুদান থেকে প্রতিমাসে ৬ হাজার টাকা করে তাদের পাঁচ মাসের বেতন-ভাতা দেওয়া হবে।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল জেনারেল হাসপাতালে করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রমও পরিদর্শন করেন।
এসময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. আব্দুর রব, কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীর ছিলেন।
এর আগে শিক্ষা উপমন্ত্রী জেনারেল হাসপাতালে সাবেক মেয়র প্রয়াত এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট নিরবচ্ছিন্নভাবে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা চালু রাখতে ১০টি ইউপিএস স্থাপনের জন্য নগদ ৪ লাখ টাকা দেন। একই বছরের ১৩ জুলাই ৩৬ জন চতুর্থ শ্রেণির অস্থায়ী কর্মচারীর জন্য প্রণোদনা হিসেবে নগদ ৩ লাখ টাকা অনুদান দেন।
এছাড়া গত ১১ জুন শিক্ষা উপমন্ত্রীর অনুরোধে সুফি মিজান ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে একটি অ্যাম্বুলেন্স দেয়। হাসপাতালের ১০টি আইসিইউ শয্যাকে উপমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় ১৮ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে।