Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘দলের মোশতাকরা বর্ণচোরা, এদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৯ জুলাই ২০২১ ০১:২১

জাহাঙ্গীর কবির নানক | ফাইল ছবি

ঢাকা: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, দল যখনই কোনো সংকটের মুখোমুখি হয় তখনই কিছু মোশতাক বেরিয়ে আসে। এই মোশতাকরা বর্ণচোরা। এরা আমাদের সঙ্গেই থাকে। এদের চিনতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে। এদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।

রোববার (১৮ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কারা অন্তরীণ দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

১/১১-এর সময় নেত্রী গ্রেফতার হওয়ার আগে দেওয়া বার্তার প্রসঙ্গ তুলে ধরে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘আমার সঙ্গে যে শেষ কথাটি হয়েছিল সেটি ছিল- নানক আমি চলে যাচ্ছি। বিশ্বাসঘাতকার কি দেখছ? দেখতে পাবে আমি গ্রেফতার হওয়ার পরে? আমি জিল্লুর চাচাকে দলের দায়িত্ব দিয়ে গেলাম অস্থায়ী সভাপতি হিসেবে। তার নেতৃত্বে ও নির্দেশে কাজ করবে।’

নানক বলেন, ‘আর একটি কথা তিনি বলেছিলেন, সেই কথাটি হলো- তোমাদের ছোট আপা লন্ডনে রয়েছে। তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে। যোগাযোগ রেখে সমস্ত পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে।’

শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের পরের প্রসঙ্গ তুলে ধরে নানক বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা ডাকা হয়েছিল ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে। সেই বর্ধিত সভায় ওই ষড়যন্ত্রকারী ও সংস্কারবাদীরা ভেবেছিল তারা তাদের মনের মতো করে সিদ্ধান্ত নেবেন। কিন্তু সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। সমস্ত জেলা থেকে আসা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা পরিষ্কারভাবে বলেছিলেন, নো হাসিনা নো ইলেকশন।’

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, উন্নয়নের পথে যখন আমাদের অগ্রযাত্রা উন্নীত হচ্ছে ঠিক তখনই সারা পৃথিবীতে করোনা মহামারি আক্রমণ করে। এর থেকে বাংলাদেশও রেহাই পায়নি। গত ১৬ মাস কোভিডের মধ্যে আমাদের জীবন-জীবিকা একসঙ্গে পরিচালনা করে দেশের অর্থনৈতিক প্রবাহ, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে বজায় রেখেছেন শেখ হাসিনা।’

ওয়ান-ইলেভেনের স্মৃতিচারণ করে তিনি আরও বলেন, ‘সেদিন বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের উদ্দেশ্য ছিল জনগণের কণ্ঠ রোধ করে দেওয়া। জনগণের অধিকার হরণের একটি কূটনৈতিক প্রক্রিয়া। এর শুরুটা হয় ২০০১ সালে। সে সময় তারা গণতন্ত্র রক্ষা কবজ শেখ হাসিনাকে হত্যার নীলনকশা করে। তারই অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে একুশে গ্রেনেড হামলায় ঘটনা ঘটায়। মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে শেখ হাসিনা যে স্বপ্ন নিয়ে লড়াই করছেন তা হলো জনগণের ভোট এবং ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই। যখন তিনি জনগণের অধিকার আদায়ের কাছাকাছি ঠিক সেই মুহূর্তে জাতীয়-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারী ও দলের ভেতরের সুবিধাবাদী উচ্চবিলাসী সংস্কারপন্থী গোষ্ঠী ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের বিজয় ব্যাহত করেতে ওয়ান ইলেভেন ঘটায়।’

সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘ওয়ান-ইলেভেনের সময় মাননীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে যারা কারাবন্দি করেছিল এবং এর পিছনে যারা নীল নকশা এঁকেছেন, তাদের শাস্তির আওতায় আনা হোক। দেশ-বিদেশে তারা যেখানেই থাকুক না কেন দেশের শান্তি এবং গণতন্ত্রকে রক্ষার্থে তাদের বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন। যারা শেখ হাসিনাকে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দেশের গণতন্ত্রকে মাইনাস করতে চেয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে একটা বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে সেই নীল নকশাকারীদের মুখোশ উন্মোচন করে দেওয়া হোক।’

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সোহেল রানা টিপু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ সাকিব বাদশা, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য প্রমুখ।

সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম

জাহাঙ্গীর কবির নানক


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ভূতের গলির বাসায় মিলল বৃদ্ধের মরদেহ
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:০০

সম্পর্কিত খবর