বেনাপোল দিয়ে ৭ দিনই ভারতে যাওয়া যাবে, ফেরা যাবে ৩ দিন
১৯ জুলাই ২০২১ ০১:৪৮
বেনাপোল: করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের স্থলপথে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আবারও বাড়িয়ে ৩১ জুলাই পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে মেডিকেল ভিসায় সপ্তাহের সাত দিনই যাওয়া যাবে সে দেশে। কিন্তু ফেরা যাবে তিন দিন– শনি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার।
রোববার (১৮ জুলাই) বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে, চলতি মাসের ১৪ জুলাই পর্যন্ত বেনাপোল ইমিগ্রেশনে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। তবে এ নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশি দূতাবাস ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র নিয়ে শর্ত সাপেক্ষে দু’দেশের মধ্যে যাতায়াতের সুযোগ রয়েছে।
জানা যায়, করোনা মহামারির আগে চিকিৎসা, ব্যবসা, শিক্ষা গ্রহণ ও ভ্রমণ ভিসায় ভারত-বাংলাদেশে দিনে প্রায় ৬ থেকে ৮ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করতেন। করোনা সংক্রমণের ভয়াবহতায় নানান বিধিনিষেধে বর্তমানে এ যাত্রীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে একশোর নিচে।
ভারতে করোনা সংক্রমণ শুরু হলে গত বছরের ১৩ মার্চ সে দেশের সরকার স্থলপথে বাংলাদেশের সঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পরে ২৩ মার্চ স্থল ও রেলপথে আমদানি রফতানি বাণিজ্য বন্ধ করে দেয়। একই মাসে বন্ধ ঘোষণা করা হয় দুই দেশের মধ্যে চলাচলকারী যাত্রীবাহী পরিবহন সেবা।
পরবর্তী সময়ে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি কমে এলে চিকিৎসা, শিক্ষা ও বাণিজ্যিক সেবা বিবেচনায় গত বছরের ১৪ আগস্ট থেকে প্রথমে মেডিক্যাল ভিসা পরে বিজনেস ও শিক্ষা ভিসায় ভ্রমণের সুযোগ দেয় ভারত সরকার। বন্ধ থাকে ভ্রমণ ভিসা।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ওসি জানান, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ৩১ জুলায় পর্যন্ত বাড়লেও সাধারণ যাত্রীদের ভ্রমণের সুযোগ থাকছে না। যাদের ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র আছে তারা শর্ত সাপেক্ষে দুই দেশের মধ্যে ভ্রমণ করছেন। বৃহস্পতিবার ভারত থেকে ফিরেছেন ৭৬ জন। সপ্তাহে শনি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার এই তিন দিন ভারত থেকে ফিরতে পারছেন বাংলাদেশি যাত্রীরা। এছাড়া মেডিকেল ভিসা নিয়ে বাংলাদেশি যাত্রীরা প্রতিদিন যেতে পারবেন ভারতে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত খোলা রয়েছে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইউছুফ আলী জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণায়ের অনুমতি নিয়ে ভারত থেকে যারা ফিরেছেন তাদের বেনাপোল ও যশোরের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে ১৪ দিনের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটাইনে রাখা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে সংক্রমণ ঝুঁকিমুক্ত হলে তারা বাড়ি ফিরছেন। যাদের সংক্রমণ ধরা পড়ছে তাদের যশোর জেনারেল হাসপাতলে করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হচ্ছে।
সারাবাংলা/এমও