দেড় কোটি পরিবারের কাছে খাদ্য-নগদ টাকা পৌঁছানোর দাবি
১৯ জুলাই ২০২১ ০১:২৯
ঢাকা: করেনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারিতে দারিদ্রসীমার নীচে নেমে আসা দেড় কোটি পরিবারের কাছে খাদ্য ও নগদ টাকা পৌঁছানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ খেতমজুর ইউনিয়ন। একইসঙ্গে মিলার ও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের যোগসাজসেই স্বেচ্ছাচারীভাবে চালের দাম বাড়ানো হয়েছে বলেও দাবি সংগঠনটির।
রোববার (১৮ জুলাই) এক বিবৃতিতে খেতমজুর ইউনিয়নের সভাপতি সাইফুল হক এসব দাবি করেন।
এ বিষয়ে সাইফুল হক বলেন, মিলার ও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের যোগসাজসেই স্বেচ্ছাচারীভাবে চালের দাম বাড়ানো হয়েছে। এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। সরকারের কাছে ৩০ লাখ মেট্টিক টনের ওপরে চাল রয়েছে। বাজারে চালের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। এই অবস্থায় চালের দাম বাড়ার যৌক্তিক কোনো কারণ নেই।
তিনি বলেন, বাজারে ৪৮ থেকে ৫০ টাকার কমে এখন কোনো মোটা চালই নেই। মাত্র এক মাসের ব্যবধানেই কেবল মোটা চালের দামই বাড়ানো হয়েছে কেজি প্রতি ৬ থেকে ৮/১০টাকা পর্যন্ত। এই পরিস্থিতিতে গ্রামের দরিদ্র, শ্রমজীবী ও স্বল্প আয়ের মানুষরা বড় বিপদে পড়েছেন। চালের এই মূল্যবৃদ্ধি তাদের জীবনে গোদের ওপর বিষফোড়ার মতো।
বিবৃতিতে আরও বলেন, ধান কলের মালিক, ব্যবসায়ী ও ফড়িয়ারা মিলে মানুষকে রীতিমতো জিম্মি করে ফেলেছে। সরকারের কোনো নজরদারি না থাকায় এই দুষ্টচক্র যা খুশি তাই করে চলেছে।
এমনিতেই করোনায় শ্রমজীবী মানুষদের জীবন-জীবিকা চরম বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তার ওপর এই সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে তাদের জীবন আরও দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। তাই অতি দ্রুত চালের দাম কমাতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, অসৎ মিলার ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং গ্রামাঞ্চলে রেশনিং ব্যবস্থা চালুরও দাবি জানানো হয় ওই বিবৃতিতে।
সাইফুল হক আরও বলেন, করোনায় দারিদ্রসীমার নীচে নেমে আসা দেড় কোটি পরিবারের কাছে খাদ্য ও নগদ টাকা পৌঁছাতে হবে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনার টাকা নয়ছয় বন্ধ করে প্রকৃত অসহায় ও দরিদ্র মানুষদের এই অর্থ প্রদান করতে হবে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এনএস
করেনাভাইরাস খাদ্য-নগদ টাকা পৌঁছানোর দাবি খেতমজুর ইউনিয়ন দেড় কোটি পরিবার