Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বেচাকেনা বেড়েছে শাহজাহানপুর গরুর হাটে, স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৯ জুলাই ২০২১ ১৮:২৯

ঢাকা: তৃতীয় দিনে এসে জমে উঠেছে রাজধানীর শাহজাহানপুর গরুর হাট। হাটে গরুর আমদানি যেমন বেশি, তেমনি গরু বিক্রি হতেও শুরু করেছে। দামও মিলছে ভালোই। ক্রেতা-বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা ও বিক্রিই বেশি। বড় গরুর চাহিদা তুলনামূলকভাবে কম। তবে হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধির অনুসরণের বিষয়টি চোখে পড়েনি।

সোমবার (১৯ জুলাই) দুপুরে শাহজাহানপুর গরুর হাটে গিয়ে এই চিত্র দেখা গেছে। ক্রেতা-বিক্রেতা তো বটেই, হাটের ইজারাদার কর্তৃপক্ষও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের বিষয়টি খেয়াল করছে না।

বিজ্ঞাপন

হাট ঘুরে দেখা গেছে, হাটে গরু কিনতে আসা মানুষের চাপ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে। হাটে গরুর উপস্থিতিও পর্যাপ্ত। তবে ক্রেতাদের মুখে যেমন মাস্ক নেই, একইভাবে গরু বিক্রেতাদের মধ্যেও মাস্ক ব্যবহারের প্রবণতা নেই বললেই চলে। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই অজুহাত একই রকম— কেউ বলছেন হাটে গরম বেশি, কেউ বলছেন মাস্ক আনতে ভুলে গেছেন।

ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, আগের দুই দিনের তুলনায় তৃতীয় দিনে এসে গরু বিক্রি বেড়েছে। আগের দুই দিন মূলত ক্রেতারা হাটে এসে গরু দরদাম করেছেন। তৃতীয় দিন সকাল থেকেই তারা গরু কিনতে শুরু করেছেন। তবে বড় গরুর চেয়ে ছোট গরু বিক্রি হচ্ছে বেশি। মাঝারি ধরনের গরুর চাহিদাও রয়েছে। এক কথায় লাখ টাকার মধ্যে গরুর কেনাবেচা হচ্ছে বেশি। ফলে যারা বড় গরু এনেছেন, তারা খানিকটা হতাশ।

কৃষ্টিয়া থেকে ৩০টি গরু এনেছেন সাবের হোসেন মিয়া। কেমন বিক্রি হচ্ছে— জানতে চাইলে তিনি সারাবাংলাকে বলেন, আমি ৩০টি গরু এনেছিলাম। এর মধ্যে মাঝারি আকারের গরু ছিল ২০টি, বড় গরু ১০টি। মাঝারি গরুগুলো মোটামুটি বিক্রি হয়ে গেছে। কিন্তু বড় গরু, অর্থাৎ যেগুলোর দাম দেড় লাখের বেশি, সেগুলোর বিক্রি কম।

বিজ্ঞাপন

সাবের হোসেন মিয়া বলেন, এমনিতে গরুর দাম ভালো পেয়েছি। কিন্তু বড় গরুগুলো বিক্রি না করতে পারলে সব শেষ হয়ে যাবে।

এই হাটে গরু কিনতে এসেছিলেন রফিক উদ্দিন। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের বাজেট থাকে লাখ টাকার মধ্যে গরু কেনার। তাই আমাদের পছন্দ মাঝারি গরু। কিন্তু হাটে এসে দেখছি গরু বিক্রেতারা দাম চাইছেন বেশি। তাই এই হাটে পছন্দ না হলে অন্য হাটে যাব। লাখ টাকার বেশি দিয়ে গরু কেনা সম্ভব না।

হাট ঘুরেও দেখা গেল, একের পর এক ছোট ও মাঝারি আকারের গরুগুলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে বড় গরুগুলোর আশপাশে ভিড় বেশি হলেও সেগুলো বিক্রি হচ্ছে না। বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকেই দেখা গেল, তারা হাট ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কারণ তারা হাটে যে ছোট ও মাঝারি গরু তুলেছিলেন, সেগুলোর বিক্রি শেষ। হাটের দায়িত্বে নিয়োজিতরাও জানালেন একই কথা।

শাহজাহানপুর হাট কর্তৃপক্ষের হয়ে কাজ করছেন রুবেল হোসেন। জানতে চাইলে তিনি সারাবাংলাকে বলেন, বৃষ্টি হচ্ছে। এত বড় হাটে কিভাবে সবকিছু ঠিক রাখবেন, বলেন? আমরা মাস্ক পরতে বলছি, কিন্তু যারা গরু এনেছেন বা যারা হাটে আসছেন গরু কিনতে, তারা মাস্ক না পরলে আমরা কী করতে পারি? আবার হাটে গরমের মাত্রাও বেশি। গরুর শরীরের তাপমাত্রা আর মানুষের জটলা— সব মিলিয়ে নিজেরা সচেতন না হলে হাট কর্তৃপক্ষেই বা কী করার আছে!

সারাবাংলা/এসজে/টিআর

টপ নিউজ পশুর হাট শাহজাহানপুর গরুর হাট

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

বিপদসীমার ওপরে পানি, ৪৪ জলকপাট খোলা
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:০৬

তৃতীয় দিনের খেলাও পরিত্যক্ত
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৫৪

সিটিকে সরিয়ে শীর্ষে লিভারপুল
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:২০

পদ্মায় কমেছে পানি, থামছে না ভাঙন
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:১৯

সম্পর্কিত খবর