মৌলভীবাজারের লাঠিটিলায় হবে সাফারি পার্ক
১৯ জুলাই ২০২১ ১৯:১০
ঢাকা: ডুলাহাজারা ও গাজীপুরের পর এবার মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলায় সাফারি পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে। এটি হবে এ অঞ্চলের তৃতীয় সাফারি পার্ক। এই পার্ক স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন অনুমোদন করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
সোমবার (১৯ জুলাই) বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভায় এ প্রতিবেদনের অনুমোদন দেওয়া হয়। সম্ভাব্যতা যাচাই কমিটির টিম লিডার ড. তপন কুমার দে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন। এ সময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
জেলা শহর থেকে ৬০ কিলোমিটার উত্তর পূর্ব, মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত হতে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ৫০ কিলোমিটার উত্তর দিকে অবস্থিত হওয়ায় লাঠিটিলায় পর্যটকদের জন্য এ সাফারি পার্ক স্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমানের ২০৯ প্রজাতির প্রাণী এবং ৬০৩ প্রজাতির উদ্ভিদ সম্পন্ন প্রস্তাবিত এলাকায় সাফারি পার্ক স্থাপিত হলে এখানে আরও অধিক প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণীর সম্মিলন ঘটানো হবে। এতে করে দর্শনার্থীদেরও সুবিধা হবে।
এ সময় বনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন অনুযায়ী অন্যান্য এলাকার চেয়ে জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলায় সাফারি পার্ক স্থাপন অধিক সুবিধাজনক ও বাস্তবভিত্তিক। এলাকার মানুষের ঐক্যমতের ভিত্তিতেই পার্কটি প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এখানে পার্কটি স্থাপিত হলে বনভূমি অবৈধ দখলের হাত থেকে রক্ষা পাবে। জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের মানের উন্নয়নে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত পর্যটকরা এ সাফারি পার্কে এসে বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি প্রাণীর সঙ্গে পরিচিত হতে পারবে।
পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানে সরকারি এ বনভূমির অভ্যন্তরে অবৈধভাবে বসবাসরত পরিবারগুলোর মধ্যে ৫৮টি পরিবারকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। অবশিষ্ট পরিবারগুলোর সমন্বয়ে ইকোভিলেজ প্রতিষ্ঠা করা হবে।
এ সময় পুনর্বাসন প্রক্রিয়াকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সম্পন্ন করে সাফারি পার্ক স্থাপনের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন বনমন্ত্রী।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল। এছাড়াও অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজীসহ মন্ত্রণালয়ের ঊধ্র্বতন কর্মকর্তারা এবং মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন, জুড়ী উপজেলা পরিষদের প্রতিনিধিরাসহ সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/জেআর/এনএস
পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মৌলভীবাজার লাঠিটিলায় সাফারি পার্ক নির্মাণ