Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মানার আহ্বান জবি উপাচার্যের

জবি করেসপন্ডেন্ট
২০ জুলাই ২০২১ ১৩:৩৭

ঢাকা: রাজধানীতে অবস্থান করা সাড়ে তিন হাজার শিক্ষার্থী গ্রামে পৌঁছে দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্রশাসন। সবার সহযোগিতায় শিক্ষার্থীদের নিরাপদে বাসায় পৌঁছে দিতে পারায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইমদাদুল হক। একইসঙ্গে গ্রামে ফেরা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

জবি উপাচার্য ইমদাদুল হক গতকাল সোমবার (১৯ জুলাই) রাতে মুঠোফেনে সারাবাংলার সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

এ সময় ইমদাদুল হক বলেন, আমাদের শিক্ষকরা, প্রক্টরিয়াল টিম, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দিনরাত পরিশ্রম করে এই কাজটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন করেছেন। তারা ছুটির দিনও কাজ করেছেন। শিক্ষার্থীদের তালিকা তৈরি করা, রাসের রুট ঠিক করা, বাসের দায়িত্ব দেওয়া ও প্রতিনিধি ঠিক করা এসব কিছু তারা করেছেন। আমার প্রায় সাড়ে তিন হাজার শিক্ষার্থীকে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলাম এবং খুব সুন্দরভাবে সম্পন্ন করেছি।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে এই সংকট তৈরি না হলে শিক্ষার্থীদের পৌঁছে দেওয়ার চিন্তা আমাদের করতে হত না । সামনে ঈদ এবং এখন করোনার কঠিন সময়। এ সময় এমনিতে গণপরিবহনের টিকেট পাওয়া যায় না। আবার করোনার কারণে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলছে। ইচ্ছে করলেও অনেক শিক্ষার্থী গ্রামে যেতে পারত না। আবার রাস্তায় প্রচুর যানজট। এসব বিবেচনা করেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

উপাচার্য আরও বলেন, গত তিন দিনে আমরা ঢাকায় অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের বাসায় পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছি। নিজেদের গাড়িতে শিক্ষার্থীরা গেছে তাই কষ্ট হলেও তাদের কষ্ট মনে হয় না। এখন তারা বাসায় অবস্থান করেছেন।

বিজ্ঞাপন

এ সময় উপাচার্য গ্রামে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, গ্রামে অবস্থান করলেও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। উৎসব অবশ্যই করব, তবে নিজেদের নিরাপদ রেখে করব। গ্রামে শিক্ষার্থীদের আইসোলেশনে থাকতে হবে। আইসোলেশন ইজ দ্য বেস্ট সলিউশন। আইসোলেশনে না থেকে সবার সঙ্গে মেলামেশা করলে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। আমাদের পাশের লোকজনকে করোনায় আক্রান্ত করলে অনেক সমস্যা হতে পারে।

তিনি করোনা ভাইরাসকে অদৃশ্য শত্রু উল্লেখ্য করে বলেন, করোনাকে চোখ দিয়ে দেখার সুযোগ নাই। অদৃশ্য একটা বস্তু আমাদের অসুস্থ করে দিচ্ছে। তাই সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজে নিরাপদে থাকি এবং অন্যকেও নিরাপদ রাখি। যেহেতু তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, তাদের দেখে অন্যরা উদ্ভুদ্ধ হবে। আমাদের সুস্থভাবে বাঁচার একটাই উপায় স্বাস্থ্যবিধি মেন চলা। যখনেই বাইরে যাও, মাস্ক অবশ্যই পরিধান কর।

উপাচার্য ইমদাদুল হক আরও বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের জন্যই। শিক্ষার্থীদের ছাড়া আমাদের দামও নাই, মূল্যও নাই, কাজও নাই। শিক্ষার্থীরা ভালো না থাকতে পারলে আমরা ভালো থেকে কি করব। আমরা শিক্ষার্থীদের নিরাপদে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলাম যেন তারা কারও সংস্পর্শে না যায়। শিক্ষার্থীদের নিরাপদে বাসায় পৌঁছে দিতেই এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।

উল্লেখ্য, চলমান করোনা মহামারির মধ্যে আসন্ন ঈদুল-আজাহায় শিক্ষার্থীদের নিরাপদে গ্রামে পৌঁছে দিতে প্রশাসন বরাবর আবেদন করেছিল সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ কারণে শিক্ষার্থীদের বাসায় যাওয়ার জন্য আবেদন করার আহ্বান করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত ১৩ তারিখ পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার ৬০০ জন শিক্ষার্থীর আবেদন জমা হয়েছিল।

শিক্ষার্থীদের পৌঁছে দিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রেশাসন নিজস্ব পরিবহন ছাড়াও বিআরটিসির বাস ভাড়া করেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত শনিবার রাজশাহী, সিলেট এবং রংপুর বিভাগে; গত রোববার বরিশাল ও খুলনা বিভাগে এবং সোমবার ময়মনসিংহ ও চট্রগ্রাম বিভাগের শিক্ষার্থীদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়।

সারাবাংলা/জেআর/এনএস

উপাচার্য ইমদাদুল হক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মানার আহ্বান

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর