এখনো হাট ভরা গরু, ক্রেতা কম
২০ জুলাই ২০২১ ১৫:১৫
ঢাকা: আগামীকাল দেশজুড়ে পালিত হবে ঈদুল আজহা। সেই হিসাবে মঙ্গলবার দুপুর থেকে সারারাত গরু বিক্রির সুযোগ থাকছে ব্যবসায়ীদের সামনে। অথচ এখনো গাবতলীর পশুর হাট গরুতে ভরা। কিন্তু ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। ক্রেতার অভাবে গরুর দামও নিম্নমুখী। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দুশ্চিন্তা বাড়ছে গরু ব্যবসায়ী ও কৃষকদের।
মঙ্গলবার ( ২০ জুলাই) সকালে গাবতলী পশুর হাটে গিয়ে খামারি ও গরু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
কথা হয় কুষ্টিয়া থেকে গরু আনা রিনার সঙ্গে। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, আমার গরুর ওজন ২৬ মণ। ৯ লাখ টাকা হলে বিক্রি করব। কিন্তু এখনো কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছি না। সব আশা মাটি হয়ে গেল। অনেক ক্ষতি হয়ে গেল আমার। ক্রেতারা যে দাম বলছে, সেই দাম বলার মতো না।
নরসিংদী থেকে গরু নিয়ে আসছেন আওলাদ হোসেন ওলি। পালোয়ান ও শেরখান তার গরু দুটির নাম। পালোয়ানের সাথে শেরখান ফ্রি। জোড়া দাম ধরা হচ্ছে ১০ লাখ টাকা। পালোয়ানের ওজন ১২শ’ কেজি আর শেরখানের ওজন ১১শ’ কেজি। বাড়িতে গরু দুটির দাম উঠেছিল ১৪ লাখ। এখানে কেউ ১০ লাখও দিচ্ছে না।
সাদা-কালো ডোরা কাটা জামালপুরের বাদশা। ওজন ৩৬ মণ। ১০ লাখ টাকা দাম চাইলেও গরুটির দাম উঠছে ৭ লাখ টাকা। গ্রামে দাম ৮ লাখ পর্যন্ত উঠেছে। গরুটির মালিক জামালপুরের হিরা বলছেন, এতো বড় গরু নিয়ে এখন কই যাবো। বাড়িতে বিক্রি করলেও ক্ষতি কম হতো।
গাবতলী হাটে কুষ্টিয়া থেকে এসেছেন রাসেল। ৮৪টি গরু নিয়ে তিনি গাবতলী হাটে আসেন ১০ তারিখে। এখন পর্যন্ত ১৪টি গরু বিক্রি করেছেন। বাকি গরুগুলো বিক্রি করতে পারেননি। তিনি বলছিলেন, আমার মনে হয় বিষ খেতে হবে। সব শেষ হয়ে যাবে আমার। ১ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে খামার করি। এখন আমি কি করবো। আমি তো মরে গেলাম ভাই।
এভাবে অসংখ্য গরু ব্যবসায়ী কিংবা খামারি গাবতলী হাটে গরু এনে পড়েছেন কঠিন বিপাকে। হাজার হাজার গরু থাকলেও নেই ক্রেতার দেখা।
সারাবাংলা/এসজে/এএম