শেষ মুহূর্তে বাড়ি ছুটছে মানুষ, উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি
২০ জুলাই ২০২১ ১৭:২৫
ঢাকা: আগামীকাল ঈদুল আজহা। শেষ মুহূর্তে নাড়ির টানে বাড়ির পানে ছুটছে মানুষ। পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদ করতেই গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন তারা। তবে গত কয়েকদিনের চেয়ে আজ মানুষের ভিড় একটু বেশি। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে প্রতিটি সিটেই যাত্রী বসানো হচ্ছে, ভাড়াও আগের চেয়ে কিছুটা বেশি।
মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ও আশপাশের এলাকা ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে দাঁড়িয়ে ছিলেন বৃদ্ধা আসমা বেগম, শিশু নয়ন এবং শিশুর মা আনজুম আরা বেগম। তারা বলেন, ‘আমরা সুনামগঞ্জ যাব, মামুন পরিবহনের টিকেট কাটার কথা রয়েছে। এখনও পাইনি টিকেট।’ টিকেট না পেলেও তারা যেকোনো উপায়ে বাড়িতে ফিরবেন বলেও জানিয়েছেন।
কুমিল্লার লাকসাম যাবেন মিজানুর রহমান, জোনাকি পরিবহনে উঠেছেন। প্রত্যেক সিটে যাত্রী বসানোয় তিনি গাড়ি থেকে নেমে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘জোনাকি থেকে নামলাম কিন্তু অন্যসব গাড়িতেও প্রত্যেক সিটে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। ভাড়াও ২০০ টাকার জায়গায় ৩০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।’ মিজানুর রহমানের মতা আরও অনেকেই বাড়িতে ছুটছেন পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে।
যাত্রাবাড়ীতে কথা হয় জসিম উদদীনের সঙ্গে। তিনি যাবেন মাগুরায়। গাড়ির জন্য অপেক্ষা করে না পেয়ে শেষে গাবতলীগামী ৭ নম্বর বাসে ওঠেছেন। গাবতলী থেকে কোনো এক গাড়িতে মাগুরা যাওয়ার চেষ্টা করবেন। তিনি বলেন, ‘যাচ্ছি তো আনন্দেই, কিন্তু সেই আনন্দ নিয়ে ফিরতে পারবো কিনা জানি না। কারণ ঈদের পরদিন থেকেই কঠোর লকডাউন শুরু হচ্ছে। ঈদ করে পরের দিনই ফেরার চেষ্টা করতে হবে।’
লক্ষ্মীপুর যাবেন হাসান আলী। তিনি গাড়ির জন্য যাত্রাবাড়ীর থানার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। পরে একটি মাইক্রোবাসে শেয়ারে ৫০০ টাকা ভাড়ায় উঠে পড়েন। তিনি বলেন, ‘বাড়ি যাই আগে, এরপর আসার ব্যাপারটি আসার সময় বুঝবো।’
সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, কোনো বাসেই স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। প্রত্যেক সিটে যাত্রী নেওয়া হলেও সবার মুখে মাস্ক রয়েছে। এসি-নন এসি সবগুলোতেই দুই সিটেই যাত্রী নেওয়া হচ্ছে।
রয়েল পরিবহনের সহকারী ম্যানেজার আবুল হাসনাত সারাবাংলাকে বলেন, ‘যাত্রীদের চাপ বেশি থাকায় প্রত্যেক সিটে লোক নিতে হচ্ছে। আমরা তাদেরই নিচ্ছি যারা আপনজন, এর বাইরে কাউকে ডাবল সিটে নিচ্ছি না।’
সারাবাংলা/ইউজে/এমও