হাজারিবাগে ঢুকছে চামড়া, দাম আরও ‘কমতে’ পারে
২১ জুলাই ২০২১ ২০:২১
ঢাকা: কোরবানির পশুর চামড়া প্রবেশ করা শুরু হয়েছে হাজারিবাগের ট্যানারিতে। সময যত গড়িয়ে যাবে তত চমড়ার দাম এবার কমতে পারে বলে জানিয়েছেন ট্যানারি ব্যবসায়ীরা।
বুধবার (২১ জুলাই) বিকালে সরেজমিনে হাজারিবাগ ট্যানারি এলাকার চামড়া ব্যবসায়ী তথা আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
হাজারিবাগ থানা থেকে কিছুটা দূরে রাস্তায় একপাশে চামড়া সংগ্রহ করছিলেন কয়েকজন। তাদের মধ্যে হাবিবুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘সর্বোচ্চ যদি বড় সাইজের চামড়া হয়, প্রায় ৩০ ফুট থেকে ৩৫ ফুট তখন সেটার মূল্য হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা টাকার ভেতরে। মিনিমাম আকারের যেটা আছে, সেটা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা দরে এখন আমরা কিনছি। ছোট সাইজেরটা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা দরে। এই রেট হচ্ছে গরুর চামড়ার বেলায়। আর খাসির চামড়া ১০ টাকা দরে প্রতি পিস কেনা হচ্ছে। চামড়া কেনার এটা আমরা লবণ দিয়ে প্রসেসিং করে মজুদ করা হবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চামড়া এক ব্যবসায়ী বলেন, “দিনের বেলায় চামড়ার রেট কিছুটা ভালো ছিল। তবে রাত যত গভীর হবে রাজধানীসহ সারাদেশ থেকে যত চামড়া ঢোকা শুরু করবে, চামড়ার রেট তত কমতে পারে। ঢাকা শহরের চামড়ার একটু কদর বেশি থাকে। কারণ চামড়া থিকনেস বা পুরুত্ব বেশি হয়। কারণ ঢাকা শহরে মোটামুটি যারা গরু জবাই করে এরা একটু দক্ষ ও জানাশোনা কসাই হয়। কারণ কোরবানি উপলক্ষে গ্রামের অনেক কসাইরা ‘মৌসুমী কসাই’ হিসেবে ঢাকায় গরু জবাইয়ের কাজ করতে আসেন। আর ঢাকার বাইরে থেকে চামড়াগুলো আসবে সেগুলো একটু কোয়ালিটিতে খারাপ থাকে। কসাইরা অনেক চামড়া দক্ষতার অভাবে, তাড়াহুড়োর কারণে নষ্ট করে ফেলেন। কারণ অনেকেই নিজেদের লোকদের দিয়েই পশু জবাই করে থাকেন, সে কারণে ঢাকার বাইরে থেকে আসার চামড়ার রেট অনেক কম হয়।”
বুধবার বিকেল ৫টা থেকে সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত হাজারিবাগে সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর হাজারিবাগে আগের মতোই কাঁচা চামড়া ঢুকছে, ট্যানারিগুলোতে সেই চামড়া প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে। বেশিরভাগ ট্যানারির সামনের সড়কে চামড়ার ট্রাক দেখা গেছে। কোনো ট্রাক থেকে চামড়া নামানোও হচ্ছে।
যদিও ২০০৩ সাল থেকে সাভারের হেমায়েতপুরে ধলেশ্বরী নদীর তীরে ১৯৯ একর জমিতে চামড়া শিল্পনগর প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে শিল্প মন্ত্রণালয়। চামড়া শিল্পনগর কার্যালয়ের সর্বশেষ হিসাবে মাত্র ৪৩টি ট্যানারি সাভারে তাদের চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের প্রথম অংশ ওয়েট ব্লুর কাজ শুরু করতে পেরেছে। আর ৫২টি ট্যানারি ওয়েট ব্লু করার জন্য ড্রাম স্থাপন করতে পেরেছে। যদিও হাজারিবাগের ১৫৪টি ট্যানারি সাভারে জমি পেয়েছে।
সারাবাংলা/এনআর/এমও