২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে মৃত্যু, শনাক্ত কমেছে অর্ধেক
২২ জুলাই ২০২১ ১৭:১৯
ঢাকা: দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) সংক্রমিত ১৮৭ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মৃত্যু হলো ১৮ হাজার ৬৮৫ জনের। একই সময়ে শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ৬৯৭ জন নতুন রোগী। এ নিয়ে দেশে ১১ লাখ ৪০ হাজার ২০০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হলেন।
বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গতকাল বুধবার (২১ জুলাই) করোনায় ১৭৩ জনের মৃত্যু হয়। সে তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু বেড়েছে। এর আগে গত ১৯ জুলাই দেশে একদিনে সর্বোচ্চ ২৩১ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ৬৯৭ জন নতুন রোগী। যা এর আগের দিন ছিল ৭ হাজার ৬১৪ জন। সে তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত কমে প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। এর আগে গত ১২ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৩ হাজার ৭৬৮ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল।
নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা: গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরি ছিল ৬৩৯টি। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩০টি, জিন এক্সপার্ট ল্যাব ৫২টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাব ৪৫৭টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয় ১০ হাজার ৮৯৯টি। এর মধ্যে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১১ হাজার ৪৮৬টি। এ পর্যন্ত দেশে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৭৩ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭৪টি।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়— গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ৫৬৬ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন মোট ৯ লাখ ৬৯ হাজার ৬১০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ১৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্তের গড় ১৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ। শনাক্তের বিপরীতে সুস্থতার সংখ্যা ৮৫ দশমিক শূন্য চার শতাংশ। প্রতি ১০০ জন শনাক্তের বিপরীতে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
পুরুষ মৃত্যুর হার বেশি: গত ২৪ ঘণ্টায় পুরুষ রোগী মারা গেছেন ১১৭ জন, নারী রোগী মারা গেছেন ৭০ জন। এ পর্যন্ত পুরুষ রোগী মৃত্যুর সংখ্যা ১২ হাজার ৮৭৬ জন। নারী রোগী মৃত্যুর সংখ্যা ৫ হাজার ৮০৯ জন। পুরুষ রোগী মৃত্যুর শতকরা হার ৬৮ দশমিক ৯১ শতাংশ, নারী রোগী মৃত্যুর শতকরা হার ৩১ দশমিক ০৯ শতাংশ।
৬১-৭০ বয়সী মৃত্যুর সংখ্যা বেশি: গত ২৪ ঘণ্টায় ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সী রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। এদিন ১১ থেকে ২০ বছর বয়সীদের মধ্যে কেউ মারা গেছেন একজন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী মারা গেছেন চার জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী রয়েছেন ২০ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী রয়েছেন ১২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী রয়েছেন ৪৯ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সী রয়েছেন ৬৪ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সী রয়েছেন ২৭ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সী রয়েছেন ৮ জন, ৯১ থেকে ১০০ বছর বয়সী রয়েছেন দুই জন।
ঢাকায় বেশি মৃত্যু, খুলনা দ্বিতীয়: গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় বেশি রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এর পরেই খুলনায় মারা গেছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী। বিভাগওয়ারী ঢাকায় মারা গেছেন ৭৫ জন, চট্টগ্রামে মারা গেছেন ২৩ জন, রাজশাহীতে ১০ জন, খুলনায় ৪৪ জন, বরিশালে ১১ জন, সিলেটে চার জন, রংপুরে ১৫ জন, ময়মনসিংহে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে মোট রোগীর মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ৮৫০ জনের। এর শতকরা হার ৪৭ দশমিক ৩৬। মোট মৃত্যুর দিক থেকে চট্টগ্রাম বিভাগ দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এ বিভাগে মারা গেছেন ৩ হাজার ৪০৩ জন রোগী। এরপরে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে খুলনা বিভাগ। খুলনায় মারা গেছে ২ হাজার ৩৯১ জন।
সংক্রমিতদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৫৭ জন, বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ২৮ জন, বাসায় মারা গেছেন দুই জন।
ভ্যাকসিন সংক্রান্ত তথ্য: গত মঙ্গলবার ও বুধবার ঈদের ছুটি থাকায় বন্ধ ছিল ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী— গত সোমবার কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের ডোজ কাউকেই দেওয়া হয়নি। তবে সিনোফার্মের প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ২৯ হাজার ৮৯৩ জন। এ পর্যন্ত সিনোফার্মের প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১০ লাখ ৪৯ হাজার ৬৬০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সিনোফার্মের দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৭৩৩ জন। এ পর্যন্ত ভ্যাকসিনটির দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩ হাজার ৩১৯ জন।
এদিকে গত সোমবার ফাইজারের প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১২ জন। এ পর্যন্ত ফাইজারের প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫০ হাজার ১০৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মডার্নার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫০ হাজার ৯০৪ জন। এ পর্যন্ত মডার্নার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ২ লাখ ৬৯ হাজার ৫৩৭ জন। কাউকেই এ পর্যন্ত মডার্নার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়নি।
সারাবাংলা/এসএসএ