কমলাপুর স্টেশনে যাত্রীদের চাপ নেই
২২ জুলাই ২০২১ ২০:২২
ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপ মোকাবিলায় শুক্রবার (২৩ জুলাই) থেকে ১৫ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হচ্ছে। এই সময় লঞ্চ, বাস, ট্রেনসহ সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। ফলে কঠোর বিধিনিষেধ শুরুর আগের দিন এবং পবিত্র ইদুল আজহার পরের দিন হওয়া সত্ত্বেও রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে আসা যাওয়া যাত্রীদের কোনো বাড়তি চাপ নেই। করোনাবিহীন স্বাভাবিক সময়ে স্টেশনটি যাত্রীদের আনাগোনায় মুখরিত থাকলেও এবার তার সম্পন্ন বিপরীত চিত্র দেখা গেছে।
অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে ট্রেন চলাচল এবং সব টিকেট অনলাইনে বিক্রি করায় কমলাপুর রেলস্টেশনে ঈদের পরদিন তেমন যাত্রী উপস্থিতি ছিল না। বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে সরেজমিনে গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা সোয়া ছয়টা পর্যন্ত স্টেশনে অবস্থানকালে কোথাও যাত্রীদের ভিড় চোখে পড়েনি। করোনার কারণে ট্রেনের সব টিকেট অনলাইনে বিক্রি করায় বেশিরভাগ টিকেট কাউন্টারগুলো বন্ধ রয়েছে। রেলস্টেশনের ভেতরে বাইরে এবং প্লাটফর্মের ভেতর অনেকটাই সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে। করোনা মহামারি প্রকোপ মোকাবিলায় মাস্ক ও টিকেট ছাড়া কোনো যাত্রীকে প্লাটফরমে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। যাদের অনলাইন টিকেট রয়েছে ও মাস্ক পরিধান করে আসছেন তাদেরকেই কেবল স্টেশনের প্লাটফর্মের ভেতর প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। ফলে পুরো স্টেশন এলাকায় নেই কোনো কোলাহল কিংবা যাত্রীদের আনাগোনা, নেই কোনো হকারের উৎপাত।
রেলওয়ে সূত্র জানা গেছে, করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় এবার পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোনো বিশেষ ট্রেন সার্ভিস চালু করা হয়নি। এমনকি ট্রেনগুলোতে কোনো অতিরিক্ত বগি বা কোচ সংযোগ দেওয়া হয়নি।
ঈদের পরের দিন বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) কমলাপুর থেকে ২৯ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন ঢাকা থেকে সারাদেশের বিভিন্ন রোডে আসা যাওয়া করছে। এ ছাড়াও এদিন পাঁচ জোড়া লোকাল ট্রেন কমলাপুর থেকে আসা যাওয়া করবে। এদিন সর্বশেষ রাত সাড়ে ১১ টায় ঢাকা থেকে চট্রগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে আন্তঃনগর ট্রেন তুর্ণা নিশিতা।
এ ব্যাপারে স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার সারাবাংলাকে বলেন, ‘আজকে আমাদের কোনো সিডিউল বিপর্যয় নেই। প্রতিটি ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ে কমলাপুর রেলস্টেশন ছেড়ে গেছে। যাত্রীদের বাড়তি কোনো চাপ নেই। স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন করেই সব ট্রেন চলছে। কোনো যাত্রীকে টিকেট ও মাস্ক ছাড়া প্লাটফরমে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘সব ট্রেন অর্ধেক আসন খালি রেখে চলাচল করায় যাত্রীর বাড়তি কোনো চাপ নেই। ঈদের আগের দিনের মতো খুব বেশি মানুষ টিকেট ছাড়াই রেলস্টেশনে এসে আজ ভিড় করছেন না। করোনার কারণে এবার ঈদ উপলক্ষে বিশেষ ট্রেন চালু করা হযনি, এমনকি ট্রেনের বিশেষ কোনো কোচও সংযোজন করা হয়নি।’
এদিকে সন্ধ্যা ৭টায় চিত্রা এক্সপ্রেসে স্বপরিবারে খুলনা নাজিম উদ্দিন। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘২৩ তারিখ থেকে টানা ১৫ দিনের লকডাউন অফিস বন্ধ থাকছে, তাই বাড়ি যাচ্ছি।’
একই কথা বলছেন দ্রুতযান এক্সপ্রেসে করে পঞ্চগড়মুখি যাত্রী আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, ‘লকডাউনে ঢাকা থেকে কী লাভ, তাই বাড়ি যাচ্ছি।’
সারাবাংলা/জিএস/একে