মালিকের কাজল চোখে দেওয়ায় নির্যাতন, ডাক্তার গ্রেফতার
২৩ জুলাই ২০২১ ০০:৫৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে এক চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার নারী চিকিৎসকের কাজল দিয়ে কিশোরী গৃহকর্মী নিজের চোখে আঁকায় নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়। পরে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ বাসায় অভিযান চালিয়ে ওই গৃহকর্মীকে উদ্ধারের পাশাপাশি চিকিৎসককে গ্রেফতার করে।
বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় চিকিৎসকের বাসায় অভিযান চালানো হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতার চিকিৎসক নাহিদা আক্তার রেনু (৩৪) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ৪৮ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি চমেক হাসপাতালে কর্মরত আছেন।
নির্যাতনের শিকার তসলিমা আক্তারেরর (১৫) বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায়। তার বাবার নাম আব্দুল গণি।
নগরীর চান্দগাঁও থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে বাদি আব্দুল গণি অভিযোগ করেছেন, গত বছরের ১৩ জুলাই তার মেয়ে তসলিমা চিকিৎসক নাহিদার বাসায় কাজে যোগ দেয়। তিন মাস আগে থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। বাসায় সশরীরে এসে ও মোবাইলে চেষ্টা করেও তিনি মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না।
বৃহস্পতিবার মেয়ের খোঁজে ওই বাসায় আসার পর চিকিৎসক তাকে বিভ্রান্তিমূলক কথা বলেন। প্রায় দুই ঘণ্টা বাসার সামনে অবস্থানের পর তিনি পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে বাসা থেকে তসলিমাকে উদ্ধার করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে চিকিৎসক নাহিদাকে গ্রেফতার করেন।
আব্দুল গণি মেয়ের কাছ থেকে জানতে পারেন, গত ১৮ জুলাই ড্রেসিং টেবিলের নিচে পড়ে যাওয়া একটি কাজল ঘর পরিস্কারের সময় সে পায়। কৌতুহলবশত কাজল সে নিজের চোখে আঁকে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে নাহিদা তাকে মারধর করে জখম করে এবং গলা টিপে ধরেন। পরদিন তাকে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার একটি সেলুনে নিয়ে চুল কেটে দেন। সেলুনে গিয়ে মুখ খুললে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন চিকিৎসক নাহিদা।
চান্দগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজেশ বড়ুয়া সারাবাংলাকে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করি। নির্যাতনকারী চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিশোরীর বাবা বাদি হয়ে মামলা করেছেন।
সারাবাংলা/আরডি/এসএসএ