চীনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথমবারের মতো তিব্বত সফর করছেন শি জিনপিং। গত ৩০ বছরে চীনের কোনো প্রেসিডেন্টের তিব্বতে এটি প্রথম কোনো সরকারি সফর।
শি জিনপিং বুধবার (২১ জুলাই) থেকে শুক্রবার (২৩ জুলাই) পর্যন্ত তিব্বতে অবস্থান করেন। তার এ সফরের সময় চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমগুলো ছাড়া কোনো স্বাধীন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহের সুযোগ পাননি।
চীনের সিসিটিভির প্রকাশিত খবরে জানা যায়, সফরের প্রথম দিন বেইজিং থেকে তিব্বতের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় শহর নিয়াংচিতে পৌঁছান শি জিনপিং। সেখানে তার বিমান অবতরণের সময় স্থানীয়রা জাতিগত পোশাক পরে তাকে স্বাগত জানান। এসময় তাদের হাতে ছিল চীনের পতাকা।
উল্লেখ্য, বৌদ্ধ অধ্যুষিত তিব্বতের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা দমন করার অভিযোগ রয়েছে চীনের বিরুদ্ধে। তবে বেইজিং বরাবরই এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
সিসিটিভির খবরে বলা হয়, নিয়াংচিতে বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম ঘুরে দেখেন শি জিনপিং। পরে নিয়াংচি থেকে তিনি ট্রেনযোগে তিব্বতের রাজধানী লাসায় পৌঁছান। লাসায় তিনি বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা নির্বাসিত দালাইলামার ঐতিহ্যবাহী বাসস্থান পোটালা প্রাসাদ পরিদর্শন করেন। লাসায় বেইজিংয়ের নেওয়া ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সুরক্ষা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন ও বিভিন্ন প্রকল্পের খোঁজখবর নেন।
উল্লেখ্য যে, তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দালাইলামা বর্তমানে ভারতে নির্বাসিত। চীন সরকারের বিরুদ্ধে তিব্বতে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের অভিযোগ এনে তিব্বতকে স্বাধীন বলে বিবেচনা করে থাকে দালাইলামার নেতৃত্বাধীন প্রবাসী সরকার। তবে বেইজিং তিব্বতকে চীনের একটি প্রদেশ হিসেবে মনে করে।