Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো ফাঁকা, অলিগলিতে ভিড়

সারাবাংলা ডেস্ক
২৪ জুলাই ২০২১ ১১:১৬

ঢাকা: করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন চলছে। এদিনও রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো বেশ ফাঁকা রয়েছে। রিকশার পাশাপাশি অল্প কিছু প্রাইভেটকার চলছে। পায়ে হাঁটা মানুষের সংখ্যাও এদিন খুবই কম ছিল। বিভিন্ন সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে অলিগলিতে এলাকার মানুষজনকে ভিড় জমাতে দেখা গেছে। স্থানীয় কাঁচাবাজার ও গলির চায়ের দোকানে চলছে আড্ডাও। সারাবাংলার করেসপন্ডেন্টদের পাঠানো খবরে ডেস্ক রিপোর্ট।

শনিবার (২৪ জুলাই) সকালে রাজধানীর জিগাতলা, ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুর এলাকাঘুরে সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট নৃপেন রায় জানান, মানুষের স্বাভাবিক চলাচল অন্যান্য বিধিনিষেধের সময়কার তুলনায় অনেক কম রয়েছে। প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হওয়া মানুষজনের বেশিরভাগই রিকশায় গন্তব্য স্থানে যাচ্ছে। রাস্তার পাশের ফলে দোকান, কাঁচাবাজার ও কিছু ওষুধের দোকান খোলা রয়েছে।

তিনি জানান, ওই এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। জিগাতলা-মোহাম্মদপুর সড়কে আবাহনী মাঠের পাশে পুলিশের চেকপোস্ট রয়েছে। চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের তৎপরতা প্রথমদিনের মতোই ছিল। রিকশাসহ অন্যান্য যানবাহন থামিয়ে মানুষজনকে বাইরে বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

মৎস্য ভবন, পুরানা পল্টন, কাকরাইল মোড় ও গুলিস্তান এলাকা সরেজমিনে ঘুরে স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট আজমল হক হেলাল জানান, প্রধান সড়কগুলো ফাঁকা থাকলেও এসব এলাকার অলিগলিতে সাধারণ মানুষের চলাচল লক্ষ্য করা গেছে। পথচারীদের মাস্ক পরার প্রবণতা খুব একটা দেখা যায়নি। পল্টন মোড়ে পুলিশ কর্মকর্তাকে হ্যান্ড মাইক দিয়ে জনগণকে নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছেন। সেগুনবাগিচা মসজিদের সামনে শরবত বিক্রেতাদের দেখা গেছে। ফল ব্যবসায়ীরা দোকান খুলছে। কিছু কিছু মুদি দোকান অর্ধেক খোলা রয়েছে।

তিনি জানান, পল্টন মোড় থেকে কাকরাইল যাওয়ার পথে বরিশাল হোটেলসহ দুয়েকটি বেকারির দোকানে ভিড় দেখা গেছে। এসব এলাকায় ভারী যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে মোটরসাইকেল চলাচল করছে অহরহ। পল্টন এলাকায় পুলিশের চেকপোস্ট নেই। কর্তব্যরত পুলিশ মাঝে মাঝে দুয়েকটি মোটরসাইকেল দাঁড় করিয়ে কাগজপত্র দেখছেন।

কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে স্টাফ করেসপন্ডেন্ট আরিফুল ইসলাম জানান, এই এলাকায় অপ্রয়োজনের বের হওয়ার দায়ে ১০ জনকে ২৪শ’ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসব অভিযানে রয়েছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড ও ঢাকার জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

শনিবার (২৪ জুলাই) কেরানীগঞ্জ কদমতলীতে মোড়ে অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকার জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা পারভিন। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, আমরা শুধু ইমার্জেন্সি মানুষদের যাতায়াতের সুযোগ দিচ্ছি। কাউকে হয়রানি করার উদ্দেশ্য নয়, মানুষের সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছি। যারা লকডাউনের নিয়ম অমান্য করছে, তাদেরকে জরিমানা করা হচ্ছে।

মতিঝিল, দিলকুশা, বায়তুল মোকারম, আরামবাগ, ফকিরাপুল, রাজারবাগ, দৈনিক বাংলা, পল্টন, কমলাপুর ও শান্তিনগর এলাকাঘুরে স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট গোলাম সামদানী জানান, প্রতিটি মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা চেকপোস্ট বসিয়ে চলাচলকারী লোকজনকে বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। বিনা কারণে গাড়ি নিয়ে বের জরিমানার পাশাপাশি রেকারও লাগাচ্ছেন।

দেখা গেছে, বিধিনিষেধের মধ্যে অফিস, দোকানপাটসহ বন্ধ থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা জোরদার করতে রয়েছে টহল পুলিশের তৎপরতা। যেসব খাবার হোটেল খোলা রয়েছে, সেখানে যাতে কেউ বসে খেতে না পারে সে বিষয়েও কঠোর অবস্থানে রয়েছে টহল পুলিশ।

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট শেখ জাহিদুজ্জামান জানান, চানখারপুল, গুলিস্তান, পল্টন এলাকার প্রধান প্রধান সড়কগুলো ফাঁকা রয়েছে। কিন্তু এসব এলাকার অলিগলিতে মানুষ আর মানুষ। কেউ কেউ দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

তিনি জানান, প্রধান সড়কে পুলিশের চেকপোস্ট থাকলেও অলিগলিতে টহল অপেক্ষাকৃত কম। এই সুযোগে অলিগলির দোকানপাট খোলা রাখার পাশাপাশি চলছে আড্ডাবাজিও।

কল্যাণপুর, শ্যামলী, আগাঁরগাও এলাকা থেকে স্টাফ করেসপন্ডেন্ট কামরুল ইসলাম ফকির জানান, সড়কে যানবাহনের পরিমাণ খুবই কম। তবে জরুরি সার্ভিস অ্যাম্বুলেন্স, পণবাহীবাহী গাড়ি ও রিকশা চলাচল করছে। তবে মাঝে মধ্যে দুয়েকটি ব্যক্তিগত গাড়িও চলতে দেখা যায়। সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র‌্যাবের টহল রয়েছে।

তিনি জানান, কল্যাণপুর ও শ্যামলী এলাকার গলি পথগুলো উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে কাঁচাবাজার ও মুদি দোকানে কোনো ভিড় চোখে পড়েনি।

সারাবাংলা/এনআর/এএইচএইচ/এআই/জিএস/এসজে/এএম

টপ নিউজ বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর