Thursday 31 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফকির আলমগীরের মরদেহে আ.লীগের শ্রদ্ধা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৪ জুলাই ২০২১ ১৪:৪৮

ঢাকা: একুশে পদক প্রাপ্ত দেশবরেণ্য গণসংগীত শিল্পী এবং মুক্তিযুদ্ধের কণ্ঠযোদ্ধা ফকির আলমগীরের মরদেহে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।

শনিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রয়াত এই গণসংগীত শিল্পীর কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

এ সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক শ্রী সুজিত রায় নন্দী এবং উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এদেশের সঙ্গীতাঙ্গনে বিশেষ করে গণসংগীতকে জনপ্রিয় করে তুলতে ফকির আলমগীরের ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এছাড়াও মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি।

আর পড়ুন: গণসংগীতে ফকির আলমগীরের ভূমিকা স্মরণীয়: প্রধানমন্ত্রী

ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর গভীর শোক

ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে মির্জা ফখরুলের শোক

ফকির আলমগীর আর নেই

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৩ জুলাই) রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফকির আলমগীরের মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। এর আগে ১৫ জুলাই সন্ধ্যায় তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর গ্রিন রোডের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আইসিইউ না থাকায় তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বিজ্ঞাপন

ফকির আলমগীর ১৯৬৬ সালে ছাত্র ইউনিয়নের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। রাজপথে বিভিন্ন আন্দোলনে তাকে বহুবার দেখা গেছে। তিনি ষাটের দশক থেকে গণসংগীতের সঙ্গে যুক্ত। ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী ও গণশিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেব ১৯৬৯’র গণঅভ্যুত্থানে শামিল হন এ গণসংগীত শিল্পী। এরপর ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি যোগ দেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে।

স্বাধীনতার পর পাশ্চাত্য সংগীতের সঙ্গে দেশজ সুরের মেলবন্ধন ঘটিয়ে বাংলা পপ গানের বিকাশে ভূমিকা রাখেন এ শিল্পী। সংগীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সরকার ১৯৯৯ সালে ফকির আলমগীরকে একুশে পদক দেয়।

জগন্নাথ কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে পরবর্তী পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর করা ফকির আলমগীর গানের পাশাপাশি নিয়মিত লেখালেখিও করেন। ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও বিজয়ের গান’, ‘গণসংগীতের অতীত ও বর্তমান’, ‘আমার কথা’, ‘যারা আছেন হৃদয় পটে’সহ বেশ কয়েকটি বই প্রকাশ হয়েছে তার।

সারাবাংলা/এনআর/এনএস

আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা নিবেদন টপ নিউজ ফকির আলমগীর

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

দীপাবলির প্রদীপে আশার আলো | ছবি
১ নভেম্বর ২০২৪ ০২:৫৫

জাপা অফিসে লুটপাটের অভিযোগ
১ নভেম্বর ২০২৪ ০০:১৬

আরো

সম্পর্কিত খবর