মৃত্যু ১৯ হাজার ছাড়াল, বেড়েছে শনাক্তের সংখ্যাও
২৪ জুলাই ২০২১ ১৮:১১
ঢাকা: দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণে ১৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃত্যু ১৯ হাজার ছাড়াল। আগের দিন ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয় ১৬৬ জনের।
এছাড়া এদিন শনাক্তের সংখ্যাও বেড়েছে। আগের দিন ২০ হাজার ৪৯৩টি নমুনা পরীক্ষা করে ৬ হাজার ৩৬৪ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল। এর বিপরীতে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২০ হাজার ৮২৭টি। এর মধ্যে ৬ হাজার ৭৮০ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
শনিবার (২৪ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে গত ২৪ ঘণ্টার করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আগের দিনের মতোই ৬৩৯টি ল্যাবে করোনা নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩০টি, জিন এক্সপার্ট ল্যাব ৫২টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাব ৪৫৭টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় এসব ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ২০ হাজার ৫৩৬টি। আগের দিনের নমুনাসহ নমুনা পরীক্ষা হয়েছে মোট ২০ হাজার ৮২৭টি। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৭৪ লাখ ১৭ হাজার ৬৯৪টি।
এসব নমুনা পরীক্ষা করে ৬ হাজার ৭৮০ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট ১১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৪৪ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হলো। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। আর এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৭২৩ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হলেন মোট ৯ লাখ ৮৮ হাজার ৩৩৯ জন। সংক্রমণ বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১৯৫ জন মারা গেছেন, সেই সংখ্যা নিয়ে দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ে মৃত্যু দাঁড়াল ১৯ হাজার ৪৬ জনে। এখন পর্যন্ত সংক্রমণের বিপরীতে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১০৩ জন, নারী ৯২ জন। তাদের মধ্যে বাসায় পাঁচ জন ও বাকি ১৯০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণ নিয়ে মৃত ১৯৫ জনের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ১০০ জন। এর মধ্যে ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সী ৪৭ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সী ৩৪ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সী ১৬ জন ও ৯১ থেকে ১০০ বছর বয়সী দুজন এবং ১০০ বছরের বেশি একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৪৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৩১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ১৬ জন, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী দুই জন এবং শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সের এক জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিন ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী কারও মৃত্যু হয়নি।
এদিকে, একই সময়ে মৃতদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬৮ জন ঢাকা বিভাগের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪১ জন মারা গেছেন খুলনা বিভাগে। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৬ জন, রাজশাহীতে ১৮ জন, রংপুর বিভাগে ১৬ জন, ময়মনসিংহে ১০ জন, বরিশালে পাঁচ জন ও সিলেট বিভাগে এক জনের মৃত্যু হয়েছে।
সারাবাংলা/পিটিএম