১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ তৃতীয় দিনেই ঢিলেঢালা
২৫ জুলাই ২০২১ ১৪:০৯
ঢাকা : ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধের তৃতীয় দিনে খুলেছে ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ। এতে রাজধানীতে যেমন বেড়েছে মানুষের আনাগোনা, তেমনই সড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। এদিন চেকপোস্টগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতাও খুব একটা দেখা যায়নি। ঢিলেঢালাভাবে চলছে বিধিনিষেধের তৃতীয় দিন।
রোববার (২৫ জুলাই) সকালে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন, শাপলাচত্বর, ফকিরাপুল, মালিবাগ, রামপুরা, বাড্ডা, গুলশান, মহাখালী, মগবাজার ও শাহবাগ ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মতিঝিলে অফিসগামী মানুষের ভিড়। সাধারণ মানুষের আনাগোনাও ছিল অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি। ওই এলাকায় পুলিশের চেকপোস্ট না থাকলেও র্যাবের একটি টহল টিমকে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে ফকিরাপুল, মালিবাগ, রামপুরা, বাড্ডা, গুলশান, মহাখালী ও মগবাজার এলাকাতেও পুলিশের চেকপোস্ট দেখা যায়নি। এতে ব্যক্তিগত যানবাহন যেমন অবাধে চলাফেরা করছে, সেই সাথে মানুষজনও মাস্ক ছাড়াই চলাফেরা করছে। এর আগের কঠোরবিধিনিষেধে এসব এলাকাগুলোতে পুলিশের চেকপোস্ট ছিল।
শাহবাগে একটি চেকপোস্ট দেখা যায়। রমনা বিভাগ থেকে তারা চেকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। সেখানকার পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নানা অযুহাতে মানুষ রাস্তায় বের হচ্ছে।
এছাড়াও শাহবাগে চেকপোস্ট পরিচালনা করছে র্যাব। সেখানে র্যাবের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হচ্ছে। মানুষকে সচেতন করতে তারা কাজ করছে।
শাহবাগে পুলিশের চেকপোস্টে একজনকে রিকশা থেকে নামিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। জিজ্ঞাসাবাদে ছেলেটি জানায়, ঈদে ভালো লাগছিল না। তাই নানা বাড়িতে গিয়েছেন। এখন নানা বাড়িতে আবার ভালো লাগছে না, তাই কলাবাগান বাসায় যাচ্ছেন।
কঠোর বিধিনিষেধ সম্পর্কে রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার সাজ্জাদুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, আমরা সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করছি। মানুষ নানা কারণে রাস্তায় বের হচ্ছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। সদুত্তর দিতে পারলে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। অন্যথায় আইনের আওতায় আনছি।
২৩ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ৪০৩ জনকে গ্রেফতার করে ও জরিমানা করা হয় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় দিনে ৩৮৩ জনকে গ্রেফতার ও জরিমানা করা হয় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
সারাবাংলা/এসজে/এএম