বিধিনিষেধে সীমিত পরিসরে চলছে সচিবালয়
২৫ জুলাই ২০২১ ১৭:০৫
ঢাকা: করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ঠেকাতে দেশব্যাপী ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। এই সময়ে জরুরি সেবা ছাড়া প্রায় সব মন্ত্রণালয় বন্ধ রয়েছে। তবে যে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের বিভাগ/শাখা খোলা রাখা হয়েছে, তাদের কার্যক্রমও চলছে সীমিত জনবল নিয়ে।
রোববার ( ২৫ জুলাই) সচিবালয়ে ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ মন্ত্রণালয়ই বন্ধ। জরুরি কাজে যুক্ত ছিল কিছু মন্ত্রণালয় ও তাদের শাখা। অন্যান্য সময়ে যেভাবে উপস্থিতি লক্ষ্য করা যেত, আজ সেখানে গিয়ে তেমনটা দেখা যায়নি। প্রায় প্রতিটি দফতরই ছিল কর্মকর্তা-কর্মচারী শূন্য। কোনো কোনো মন্ত্রণালয়ের প্রবেশ গেট পর্যন্ত বন্ধ ছিল।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, বেশিরভাগ শাখা বন্ধ। প্রতিমন্ত্রীর দফতর খোলা থাকলেও তিনি উপস্থিত ছিলেন না। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবের দফতর খোলা। এক কর্মকর্তা জানান, জরুরি প্রয়োজনে সীমিত জনবল রাখা হয়েছে এখানে। বেশিরভাগ দরজায়ই তালা ঝুলছে।
এদিকে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসা সংক্রান্ত মূল কাজের সঙ্গে জড়িত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্বাস্থ্য সেবা ও শিক্ষা বিভাগের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের পুরোটাই খোলা রাখা হয়েছে। শিক্ষা বিভাগের আংশিক খোলা থাকতে দেখা গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেবা বিভাগের ৫০ শতাংশ কর্মকর্তাকে অফিস করতে হচ্ছে। তবে শিক্ষা বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারাই কেবল অফিস করছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক দুপুরে অফিস করেছেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের কথা থাকলেও তিনি প্রস্তুত না থাকায় তা বাতিল করেন।
বিধিনিষেধে খোলা ছিল তথ্য অধিদফতরের সংবাদ কক্ষ। সীমিত জনবল দিয়ে কাজকর্ম চলছে সেখানে। তবে অন্যান্য শাখা বন্ধ রয়েছে। প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়া সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের দফতরের নিউজ রুম ৩৬৫ দিনই খোলা থাকে। এমনকি ঈদেও খোলা রাখা হয়। সরকারের প্রচারযন্ত্র হিসবে তথ্য অধিদফতর স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে কার্যক্রম চালু রেখেছে। আমরা রোস্টার করে দিয়েছি। সে অনুযায়ী কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছেন। আমাদের নিউজরুম এবং ফটো ডিপার্টমেন্ট খোলা রয়েছে।’
খোলা রয়েছে সচিবালয় ক্লিনিকও। এছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষও খোলা রয়েছে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কন্ট্রোল রুমে কাজ করছে অল্প কয়েকজন কর্মকর্তা। যারা অফিস করেছেন তাদের ভাষ্য, ঘরের বাইরে যাওয়ায় ঝুঁকিতো রয়েছেই। কিন্তু জরুরি কাজ করতে হবে বলেই বেরিয়েছেন।
তবে যেসব মন্ত্রণালয় বন্ধ রয়েছে, সেখানে বলতে গেলে ভুতুরে পরিস্থিতি। লাইট বন্ধ, কলাপসিবল গেটে তালা। এমনকি প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজনকেও তেমন দেখা যায়নি। যারা ডিউটি করছেন, তারাও অনেকটা আরাম-আয়েশে গল্প করেই সময় পার করছেন।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। এ সময়ে দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গণপরিবহন, দোকানপাট, শপিং মল ও শিল্প কারখানা বন্ধ রয়েছে।
সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম