ছিনতাই ছেড়ে কিশোর গ্যাং বানিয়ে ইয়াবার কারবারে
২৫ জুলাই ২০২১ ১৯:২৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো : একদশক আগে নগরী দাপিয়ে বেড়ানো দুর্ধর্ষ ছিনতাইকারী দল ‘হামকা গ্রুপের’ সাবেক এক সদস্যসহ দু’জনকে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, হামকা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা দলনেতা দণ্ডিত হয়ে কারাগারে থাকায় দলটি ভেঙে গেছে। এর মধ্যে শীর্ষস্থানীয় একজন ছিনতাই ছেড়ে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানা এলাকায় কিশোর অপরাধী গ্রুপ তৈরি করে আধিপত্য বিস্তার করেছে। পাশাপাশি তাদের মাধ্যমে ইয়াবা বিক্রি করে।
শনিবার (২৪ জুলাই) রাতে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার অক্সিজেন লোহার পুল এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গ্রেফতার দুজন হলো হামকা গ্রুপের সাবেক সদস্য আল আমিন (৩২) ও মাদক ব্যবসায় তার সহযোগী তাজুল ইসলাম (৩৮)। তাদের কাছ থেকে ১১০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
বায়েজিদ বোস্তামি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, ‘হামকা গ্রুপের সদস্য হিসেবে ছিনতাইয়ের দায়ে কয়েকবার আল আমিনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। ছিনতাইয়ে গ্রেফতারের ঝুঁকি বেশি, মাদকে ঝুঁকি কম-এমন চিন্তাভাবনা থেকে আল আমিন ২০১৪ সালে হামকা গ্রুপ থেকে নিষ্ক্রিয় হতে শুরু করে। আস্তে আস্তে সে ইয়াবা বিক্রিতে জড়ায়। কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ইয়াবা এনে নগরীতে বিক্রি শুরু করে। ইয়াবা আনা ও কেনাবেচায় তাজুল তার বিশ্বস্ত সহযোগী।’
প্রায় ১০ বছর আগে চট্টগ্রাম শহর দাপিয়ে বেড়াতে শুরু করে ছিনতাইকারী দল ‘হামকা গ্রুপের’ সদস্যরা। গলায় গামছা পেঁচিয়ে টার্গেট করা ব্যক্তিকে দুর্বল করে ছিনতাই করা ছিল তাদের কৌশল। ২০১৭ সালে হামকা গ্রুপের মূল নেতা নুর আলম গ্রেফতারের পর দণ্ডিত হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছে। এরপর হামকা গ্রুপ ভেঙে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। সেই গ্রুপের কয়েকজন মিলে গড়ে তোলা আরেকটি ছিনতাইকারী দলের পাঁচ সদস্যকে গত ডিসেম্বরে গ্রেফতার করে নগরীর কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
ওসি কামরুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, ‘হামকা গ্রুপ থেকে বেরিয়ে আল আমিন নগরীর আমিন কলোনি, বার্মা কলোনি, মোহাম্মদ নগর, আলী নগর, হিলভিউ এলাকায় বস্তির বাসিন্দা ও ভাসমান কিশোরদের নিয়ে গ্রুপ গড়ে তোলে। মূলত তাদের মাধ্যমে সে মাদক বিক্রিতে প্রভাব বিস্তার করে। এলাকায় মারামারি, ইয়াবা বিক্রি, ভূমি দখলে সহযোগিতা- নানা অপরাধের সঙ্গে আল আমিনের বাহিনী জড়িত। তারা নগরীর শহীদ নগর, ওয়াজেদিয়া, নয়ারহাট, বালুছড়া ও আশপাশের এলাকায় ইয়াবা বিক্রি করে।’
গ্রেফতার আল আমিনের বিরুদ্ধে ছিনতাই, মাদক বিক্রিসহ বিভিন্ন অভিযোগে নগরীর বিভিন্ন থানায় ১৫টি ও তাজুলের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা আছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সারাবাংলা/আরডি/একে