‘সংক্রমণ কমাতে লকডাউন একটি কার্যকর পদ্ধতি’
২৫ জুলাই ২০২১ ১৯:৩৭
ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে লকডাউন একটি কার্যকর পদ্ধতি। সবার সক্রিয় সমর্থনের মধ্য দিয়ে এটি সফল করা সম্ভব। সংক্রমণের যে ঊর্ধ্বগতি আছে, লকডাউন সেটিকে টেনে ধরতে পারবে। এর পাশাপাশি সবাইকে দ্রুত ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে হবে।
রোববার (২৫ জুলাই) দুপুর ২টায় কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ও মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম।
অধ্যাপক ডা. নাজমুল বলেন, ‘সর্বাত্মক যে লকডাউন চলছে আজ তার তৃতীয় দিন। সকলের সক্রিয় সমর্থনের মধ্য দিয়ে এটি সফল করা সম্ভব। সংক্রমণের যে ঊর্ধ্বগতি আছে, লকডাউন সেটিকে টেনে ধরতে পারবে। সংক্রমণ কমাতে লকডাউন একটি কার্যকর পদ্ধতি।’
তিনি বলেন, ‘লকডাউন সফল করার পাশাপাশি যাদের ভ্যাকসিন নিতে নিবন্ধন হয়েছে, যারা ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য উপযুক্ত আছেন কিন্তু যারা রেজিস্ট্রেশন করেননি, তারা অবিলম্বে রেজিস্ট্রেশন করে ফেলেন এবং দ্রুত ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত পরিস্থিতি বিশ্লেষণে দেখা যায়, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে সংক্রমণ অত্যন্ত কম ছিল। এপ্রিল মাসে সেটি বাড়তে শুরু করে, জুন মাসে সেটি অব্যাহতভাবে বেড়ে যায় এবং জুলাই মাসে এসে সংখ্যাটি যে কোনো সময়ের থেকে সবচেয়ে বেশি হয়ে যায়। জুলাই মাসে এরইমধ্যে সংক্রমণের সংখ্যা ২ লাখ ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে।’
অধ্যাপক নাজমুল বলেন, ‘এক সপ্তাহের মধ্যে ১৯ জুলাই করোনায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে ২৩১ জনের। সবচেয়ে কমসংখ্যক প্রাণহানি ঘটেছে ২৩ জুলাই ১৬৬ জন। গতকালও আমরা করোনায় ১৯৫টি মূল্যবান প্রাণ হারিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগরীতে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে করোনা ডেডিকেটেড যে হাসপাতালগুলো রয়েছে তাতে পাঁচ হাজার ৭১৭টি শয্যা আছে। তার মধ্যে এক হাজার ৯৬৩টি শয্যা গতকাল পর্যন্ত খালি ছিল।’
তিনি আরও বলেন, রাজধানীতে কোভিড ডেডিকেটেড আইসিইউ শয্যা রয়েছে ৮৯৮টি, তার মধ্যে গতকাল খালি ছিল ১৩৭টি। সারা দেশে করোনা ডেডিকেটেড সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে সর্বমোট ১৫ হাজার ৬৩০টি সাধারণ শয্যা আছে। সেগুলোর মধ্যে পাঁচ হাজার ৮৯৪টি শয্যা খালি ছিল।
সারাবাংলা/এসবি/একে