‘বিধিনিষেধে কারখানা খোলা রাখার প্রমাণ পেলে আইনি ব্যবস্থা’
২৬ জুলাই ২০২১ ১৬:১৫
ঢাকা: বিধিনিষেধ চলাকালীন নির্দেশনা অমান্য করে যারা শিল্প কারখানা খোলা রেখেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘কারা বিধিনিষেধে কারখানা খুলছেন সেটা আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপাতত গার্মেন্টস খুলে দেওয়ার কোনো চিন্তা সরকারের নেই। ’
সোমবার (২৬ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর বিধিনিষেধের কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘করোনা এখন অনেক বেশি ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকেও আলোচনা হয়েছে। ’
মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ কোনো নির্দেশনা দিয়েছেন কি না জানতে চাইলে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে করোনা ছড়িয়ে পড়ায় যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে সে বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ’
তিনি বলেন, ‘আমরা তো কঠিনভাবে প্রজ্ঞাপন জারি করেছি। এ ব্রেকটা খুব দরকার। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন আমাদের সংক্রমণ কমানোর জন্য ব্রেক প্রয়োজন। ব্রেকটার জন্য উপযুক্ত কৌশল হচ্ছে বিধিনিষেধ। সেক্ষেত্রে এটি ৫ই আগস্ট পর্যন্ত কার্যকরীভাবে পালন করার একটি নির্দেশনা আছে। ’
বিধিনিষেধ কঠোরতম হওয়ার কথা বলা হয়েছিল, কিন্তু মাঠে সেটি দেখ যাচ্ছে না—সাংবাদিকদের এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গার্মেন্টস ও রফতানিমুখী কলকারখানাগুলো বন্ধ রেখেছি কারণ এগুলো খোলা থাকলে লাখ লাখ শ্রমিক আসা-যাওয়া করতো, সেগুলো কমেছে। তবে এগুলো বন্ধ থাকলেও আরও বিভিন্ন কারণ আছে, যে কারণে মানুষ বাইরে আসছে। অযৌক্তিক কারণে আসলে কিন্তু আইনের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ’
তিনি বলেন, ‘রাস্তায় যখন মানুষ নামছে, তখন বলছে আমার চাকরিতে যেতে হচ্ছে। পরবর্তীতে সেটার সত্যতা যাচাই করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তারা যেসব নাম বলছে সেগুলো চেক করার চেষ্টা করছি। ’ এছাড়া হাসপাতাল থেকে শুরু করে জরুরিসেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত মানুষ বাধাহীনভাবে চলাফেরা করতে পারছে বলেও জানান তিনি।
গার্মেন্টস মালিকরা ঈদের আগে দাবি জানিয়েছিলেন, গার্মেন্টস যেন খুলে দেওয়া হয়—এ বিষয়ে কোনো আলোচনা আছে কি না জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ ধরনের কোনো চিন্তা-ভাবনা এখন পর্যন্ত নেই। ’
উল্লেখ্য, গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কখনও বাড়ছে, কখনও কিছুটা কমেছে। আবার নতুন রেকর্ডও হচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় হিসেবে জন চলাচল কমিয়ে আনার উদ্দেশে সরকার দফায় দফায় বিধিনিষেধ জারি রেখেছে। সবশেষ গত ১৩ জুলাই এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সে অনুযায়ী গত ২৩ আগস্ট থেকে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে যা চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত।
সারাবাংলা/জেআর/এসএসএ