Saturday 14 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ক্ষতিপূরণ দাবিতে কুয়েট শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন


৩১ মার্চ ২০১৮ ২১:৩৪ | আপডেট: ৬ নভেম্বর ২০১৮ ২২:৪৭
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

খুলনা: ময়মনসিংহের ভালুকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) চার শিক্ষার্থীর পরিবারকে ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন শিক্ষার্থীরা।

অনশন পালন করতে গিয়ে এরই মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়া দুই শিক্ষার্থীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার দুপুর সাড়ে ৩টা থেকে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের ডাকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ অনশন শুরু করা হয়।

অনশনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমাদের বিভাগের চার শিক্ষার্থীকে হারিয়ে আজ আমরা শোকে বাকরুদ্ধ। এসব শিক্ষার্থীর চিকিৎসার জন্য প্রায় ৬ লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে। যার মধ্যে মাত্র ৫০ হাজার টাকা কুয়েট প্রশাসন দিয়েছে। বাকি টাকা কুয়েট শিক্ষার্থীসহ দেশ-বিদেশের সাবেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে সহযোগিতা হিসেবে নেওয়া হয়েছে। এর পরও তাদের বাঁচানো যায়নি।’

বিজ্ঞাপন

তারা বলেন, ‘আমাদের একটাই দাবি, ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে কুয়েট প্রশাসনকে ১ কোটি টাকা করে সর্বমোট চার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এই ক্ষতিপূরণের টাকা রোববার দুপুর ১টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে বণ্টন করবে। এই টাকা পরিবারের হাতে না যাওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে।’

এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারকে ১ কোটি করে টাকা হন্তান্তর করা না হলে রোববার পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে, বলেও জানান তারা।

কুয়েটের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক জিএস ইয়াসির আরাফাত জানান, ‘শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ছাত্র কল্যাণ বিভাগের পরিচালক ড. সোবাহান মিয়া নিহত প্রত্যেক ছাত্রের পরিবারকে এক কোটি টাকা করে দেয়ার ব্যাপারে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করলেও তা পালন করেনি।’

তিনি বলেন, শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ৬০তম (জরুরি) সভা ডাকা হয়। মিটিংয়ে সিন্ডিকেট সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। নিহতদের পরিবারের সদস্যদের যোগ্যতার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির ব্যবস্থাও করা হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের সবার পরিবারের সদস্যরা খেটে খাওয়া মানুষ এবং দুজনের বাবা নেই। তৌহিদের বাবা প্যারালাইজড। বিশ্ববিদ্যালয় কাদের চাকরি দেবে? আমরা এই সিদ্ধান্ত মানি না। প্রস্তাবিত দাবি না মানা পর্যন্ত আমরণ অনশন অব্যাহত থাকবে।

অনশনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীরের সঙ্গে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।

এ দিকে কুয়েটের চার শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় শনিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন দিনের শোক পালন করা হচ্ছে।

গত ২৪ মার্চ ময়মনসিংহের ভালুকায় গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে গুরুতর দগ্ধ হন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী। ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ওই চার শিক্ষার্থী শিক্ষাজীবনের চূড়ান্ত পর্বে এক মাসের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিংয়ের জন্য ময়মনসিংহে গিয়েছিলেন। দুর্ঘটনায় তৌহিদুল ইসলাম নামের এক ছাত্র ঘটনাস্থলে নিহত হন। গুরুতর দগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শাহীন মিয়া, হাফিজুর রহমান ও দীপ্ত সরকার।

সারাবাংলা/এমএইচ/এমআই

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর