সরকারি খালে ‘প্রভাবশালী’দের দেওয়া বাঁধ কেটে দিচ্ছে প্রশাসন
২৬ জুলাই ২০২১ ২৩:১৪
কুয়াকাটা (পটুয়াখালী): কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের পাঁচজুনিয়া সরকারি খালে মাছ চাষের জন্য স্থানীয় প্রভাবশালীদের নির্মিত ১৬টি অবৈধ বাঁধ কেটে দেওয়ার কাজ শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু হাসনাত মোহম্মদ শহিদুল হক জনস্বার্থে বাঁধগুলো কেটে দেওয়ার উদ্যোগ নেন।
সোমবার (২৬ জুলাই) প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দীর্ঘখালে দেওয়া ১৬টি অবৈধ বাঁধের ১০টি বাঁধ কেটে দিয়েছেন তিনি। তবে বৃষ্টি কারণে সব বাঁধ কাটা সম্ভব হয়নি। বাকি ছয়টি বাঁধ আগামীকাল মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) কাটা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম রাকিবুল আহসান, ইউপি চেয়ারম্যান মো. রিয়াজ উদ্দীন তালুকদারসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, পাঁচজুনিয়া খালটি দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদের সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহ ও নিষ্কাশনের জন্য ব্যবহার হয়ে আসছে। কিন্তু স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি খালটির বিভিন্ন পয়েন্টে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন। এতে প্রায় দুই হাজার একর জমি বছরের অর্ধেক সময় ধরে পানিতে ডুবে থাকে। ফলে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে যায়। আজ (সোমবার) ইউএনও এবং উপজেলা চেয়ারম্যান এসে বাঁধ কেটে দেওয়ায় পানি নামতে শুরু করেছে। বাকি বাঁধগুলো কেটে দিলে এ বছর চাষাবাদ করা যেতে পারে।
ধানখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার বলেন, জনগণের স্বার্থে খালের অবৈধ বাঁধ কেটে দেওয়া হয়েছে। গ্রামের কৃষকরা এখন চাষাবাদের জন্য জমি প্রস্তুত করতে পারবেন।
এ বিষয়ে কলাপাড়া ইউএনও আবু হাসনাত মোহম্মদ শহিদুল হক বলেন, নদী, সরকারি খাল, জলাশয় ও স্লুইস গেট দখলের জন্য তৈরি যেকোনো অবৈধ বাঁধ জনস্বার্থে পর্যায়ক্রমে অপসারণ করা হবে। ইতোমধ্যে এগুলো অপসারণের বেশ কিছু ঘটনার নথি তৈরি করে জেলায় পাঠানো হয়েছে। করোনাভাইরাস রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের পর জেলা থেকে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হলে অপসারণ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
সারাবাংলা/এনএস