বিধিনিষেধে বিদ্যুতের চাহিদা কমেছে প্রায় ৩৫০০ মেগাওয়াট
২৭ জুলাই ২০২১ ১২:৩৩
ঢাকা: মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে টানা দুই সপ্তাহ কঠোর বিধিনিষেধ চলমান। এসময়ে জরুরি প্রয়োজনের বাইরে থাকা সব ধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বন্ধ গণপরিবহন, শিল্প কারখানা। যে কারণে বিদ্যুতের ব্যবহার কমেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে এখন কমপক্ষে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা কম রয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, দেশে ১৪৬টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। এই সংখ্যক প্ল্যান্টের উৎপাদন সক্ষমতা ২৫ হাজার ২৩৫ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো দৈনিক উৎপাদন করতে পারে ১৩ হাজার ৭৯২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। স্বাভাবিক সময়ে বিদ্যুতের চাহিদা তের থেকে চৌদ্দ হাজার মেগাওয়াটের মতো থাকে। বর্তমানে চাহিদা ১০ হাজার মেগাওয়াট ওপরে যাচ্ছে না। দিনের ভাগে কখনো সাড়ে আট হাজার মেগাওয়াটেও নেমে আসে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বিদ্যুতের একটা বড় অংশ শিল্প কল-কারখানা, অফিস আদালতে ব্যবহার হয়। যা চলমান বিধিনিষেধে বন্ধ রয়েছে, যে কারণে প্রায় তিন থেকে চার হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা এখন কম রয়েছে।
পাওয়ার সেলের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিধিনিষেধে সব কিছু বন্ধ রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে সে কারণে বিদ্যুতের ব্যবহার কমেছে, তাই চাহিদাও কম। পিক আওয়ারে দশ হাজার সাড়ে দশ হাজার মেগাওয়াট চাহিদা থাকলেও অফপিকে এর থেকেও দেড় হাজারের মতো কমে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই সময়ে ঢাকার আশেপাশের চেয়ে ঢাকাতে বেশি চাহিদা রয়েছে। এর একটা কারণও রয়েছে, মানুষ তো এখন ২৪ ঘণ্টাই ঘরে থাকছে।’
উল্লেখ্য, দেশের মোট ১৪৬টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা ২৫ হাজার ২৩৫ মেগাওয়াট। দিনে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন ১৩ হাজার ৭৯২ মেগাওয়াট। মোট গ্রাহক সংখ্যা ৪ কোটি ১ লাখ। এরইমধ্যে ৯৯.৫ শতাংশ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় চলে এসেছে।
সারাবাংলা/জেআর/এমও