চাঁদাবাজির মামলায় ছাত্রলীগের নেতা আকতারুল রিমান্ডে
২৭ জুলাই ২০২১ ১৬:৫৯
ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের উপ-দফতর সম্পাদক আকতারুল করিম রুবেলকে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের কর্মচারীর কাছে চাঁদা দাবি এবং মারধরের অভিযোগে করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালত এ রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই মোহাম্মদ রইচ হোসেন আকতারুলকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করা হয়, মামলার বাদী শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ওয়ার্ড বয় হিসাবে কর্মরত আছেন। বাদী ও তার সহকর্মী মো. সোহেল, হারুন নাস্তা করার জন্য হাসপাতাল হতে গত ২৬ জুলাই আনন্দবাজার খাবার হোটেল যাওয়ার উদ্দেশে যাচ্ছিল। এসময় আসামিসহ আরও অজ্ঞাতনামা দুই-তিন জন সহযোগী বাদীর গতিরোধ করে এবং তার কাছে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। বাদী চাঁদা প্রদানে অস্বীকৃতি জানালে আসামিরা বাদীকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে হাতে থাকা কাট ও রড দিয়ে মারাত্মক আঘাত করে।
তখন বাদীকে বাচাঁতে তার সহকর্মীরা এগিয়ে এলে সকল আসমি তাদেরও এলোপাথাড়ি শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাঠ ও রড দিয়ে পিটিয়ে আঘাত করে। একপর্যায়ে তাদের চিৎকারে আশ পাশের লোকজন এসে আসামিকে আটক করলেও তারা কৌশলে পালিয়ে যায়। আসামিদের বর্ণিত নাম-ঠিকানা সন্দেহজনক। মামলাটি সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনসহ ঘটনায় জড়িত অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামিদের শনাক্তসহ গ্রেফতারের লক্ষ্যে বিভিন্নস্থানে অভিযান পরিচালনার জন্য এই আসামিকে পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক ও নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ করা একান্ত প্রয়োজন।
তবে এ সময় আসামি পক্ষের কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিল না। এর আগে গত ২৬ জুলাই ইনস্টিটিউটের কর্মচারী মনির হোসেনের দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। রুবেল ঢাবির বাংলা বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মনির ও তার দুই সহকর্মী নাস্তা করার জন্য হাসপাতাল থেকে হোটেলে যাওয়ার পথে ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের সামনে আকতারুল করিম রুবেল ও তার সহযোগীরা পথরোধ করে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করেন। এ সময় টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের ব্যাপক মারধর করা হয়। তাদের চিৎকারে অন্য কর্মচারীরা ছুটে এসে রুবেলকে আটক করে। পরে শাহবাগ থানা পুলিশ তাকে হাজতে নিয়ে নেয়।
সারাবাংলা/এআই/এনএস