Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘জীবন রক্ষা না পেলে জীবিকা দিয়ে কী হবে?’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৮ জুলাই ২০২১ ১৪:১৪

ফাইল ছবি

ঢাকা: করোনার এই কঠিন পরিস্থিতিতে সবাইকে জনগণের জন্য রাজনীতি করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, জীবন রক্ষা না পেলে জীবিকা দিয়ে কী হবে? অনেকে লকডাউন শিথিলের কথা বললেও এমন সংকটকালে জীবনের সুরক্ষাকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে।

বুধবার (২৮ জুলাই) সকালে তিনি তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত বিফ্রিংয়ে একথা বলেন।

সংক্রমণ রোধে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দলমত নির্বিশেষে সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যুর হার প্রতিবেশি দেশ ভারতের চেয়ে বেশি। এমন বাস্তবতায় মানুষের জীবনের সুরক্ষাকেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার।’

জীবন রক্ষা না পেলে জীবিকা দিয়ে কী হবে? প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে লকডাউন শিথিলের কথা বললেও এমন সংকটকালে জীবনের সুরক্ষাকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, কারও কারও অবহেলায় পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে। এ অবস্থা চলমান থাকলে অনাকাঙ্ক্ষিত বিপর্যয়ের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।’

দেশের মানুষের সুরক্ষায় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার প্রতি আস্থা রাখার জন্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলার পাশাপাশি ভ্যাকসিন প্রদানকেই সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশে ভ্যাকসিনের কোনো সংকট নেই। মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে চূড়ান্ত করা হয়েছে রোডম্যাপ।’

বিজ্ঞাপন

দুর্যোগ ও সংকটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি জনমানুষের আস্থা রয়েছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জনমানুষের আস্থা পূরণে দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এবং করোনার এ সংকটে তিনি বিনিদ্র রজনীও যাপন করছেন।’

জীবন ও জীবিকার সমন্বয় করার জন্য প্রধানমন্ত্রী দূরদর্শী সিদ্ধান্তে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি অন্যান্য দেশের তুলনায় ভালো অবস্থায় রয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। দেশের উন্নয়ন, অর্জন ও সমৃদ্ধিতে যারা লাভবান হয়েছে, বিশেষ করে সমাজের ধনী শ্রেণী মানুষের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে এই সংকটে অন্তত কিছু সহযোগিতা নিয়ে হলেও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

আওয়ামী লীগ একটি বিশাল রাজনৈতিক সংগঠন, কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত এ সংগঠনের বিস্তৃতি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অনেক সময় দলে অনুপ্রবেশকারীরা বিতর্কিত কর্মকাণ্ড চালায়। এসব কর্মকাণ্ড নজের এলে সঙ্গে সঙ্গেই তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

তিনি জানান, অনেক সময় শুধু সাংগঠনিক নয়, আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়ার নজির রয়েছে। যার উদাহরণ সাম্প্রতিককালে সাহেদ, পাপিয়াসহ অনেকের ক্ষেত্রে দল অত্যন্ত কঠোর অবস্থান দেখিয়েছে।

‘অনেকে অনেক কথাই বলেন। কিন্তু দল ক্ষমতায় থাকাকালে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে দলের নেতাকর্মী, এমনকি জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে যে কঠোরতা আওয়ামী লীগ দেখিয়েছে তা অতীতে দেশের কোনো রাজনৈতিক দল দেখাতে পেরেছে কী?’— প্রশ্ন তোলেন ওবায়দুল কাদের।

শেখ হাসিনা সরকার এবং আওয়ামী লীগ অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান ইতোমধ্যেই স্পষ্ট করেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দলের অনেক সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা চলমান এবং তদন্তাধীন। আবার কারো সাজাও হয়েছে। দল কখনও অনিয়মকারীদের প্রশ্রয় দেয়নি, ভবিষ্যতেও দেবে না।’

বিজ্ঞাপন

করোনার এই সংকটকালে আওয়ামী লীগের প্রতিটি ইউনিট অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে, কেথাও কোনো গতিহীনতা নেই বলেও জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে তৃণমূলে সাংগঠনিক সিদ্ধান্তগুলো অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে বাস্তবায়িত হচ্ছে। পাশাপাশি দলের উপকমিটি ও সহযোগী সংগঠনগুলো সক্রিয়তার সঙ্গে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।’

সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম

আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর