রাঙ্গামাটিতে ক্ষুধার্ত বানরদের খাবার দিলো জেলা প্রশাসন
২৮ জুলাই ২০২১ ১৬:৪৯
রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারের ক্ষুধার্ত বানরগুলোকে খাবার দিয়েছে জেলা প্রশাসন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে পূণ্যার্থী না আসায় বানরগুলো খাবার পাচ্ছিল না।
বুধবার (২৮ জুলাই) সকাল ১০টায় রাজবন বিহার প্রাঙ্গণে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান উপস্থিত থেকে বানরগুলোকে মিস্টি কুমড়া ও মটর ছড়িয়ে দেন দেন। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মামুন, রাজবন বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমীয় খীসাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
রাজবন বিহারের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নভেল করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) প্রভাবে চলমান কঠোর বিধিনিষেধে বিহারে পূণ্যার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ফলে বিহার এখন পূণ্যার্থী-শূন্য। এদিকে, বিহার এলাকায় সহস্রাধিক বানরের বসবাস। পূণ্যার্থীদের দেওয়া খাবার ও বৌদ্ধ ভিক্ষুদের উচ্ছিষ্ট খাবার খেয়ে তাদের বেঁচে থাকতে হয়। কিন্তু পূণ্যার্থী না থাকায় বানরগুলোকে না খেয়ে থাকতে হচ্ছে।
বিহারের বানরগুলোর এমন পরিস্থিতি জানতে পেরে বিকিরণ চাকমা নামে স্থানীয় একজন প্রতি শুক্রবার বানরগুলোর জন্য কিছু খাবার দিয়ে আসছিলেন। এবারে এগিয়ে এলো রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসন।
রাজবন বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমীয় খীসা বলেন, জেলা প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। জেলা প্রশাসক আমাদের বলেছেন, আমরা যেন বানরগুলোর খাদ্যের জন্য আবেদন করি। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে আবেদন করব। বানরগুলোকে বাঁচাতে সবার সহায়তা প্রত্যাশা করেন তিনি।
রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, আমরা বানরগুলোর খাবারের অভাবের কথা জানতে তাদের কিছু খাবারের ব্যবস্থা করেছি। বিহার কমিটির আবেদন পেলে এ ধরনের খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রাখা হবে।
রাজবন বিহার পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ও প্রাচীন একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। পাহাড়ের বাইরেও সারাদেশে এই বিহারের পরিচিতি রয়েছে। রাজবন বিহার এলাকাটি অনেকটাই বুনো প্রাণীর আশ্রয়স্থল। পুরো বিহার এলাকা নানা প্রজাতির পাখি ও সহস্রাধিক বানরের আবাসস্থল।
সারাবাংলা/টিআর