ভিকারুননিসা অধ্যক্ষকে অপসারণের দাবি
২৮ জুলাই ২০২১ ২১:০১
ঢাকা: নৈতিক স্খলনের দায়ে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহারকে তার পদ থেকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
তিনি বলেন, স্কুল প্রাঙ্গণে কোরবানির পশুর হাট বসানোকে কেন্দ্র করে জনৈক অভিভাবকের সঙ্গে ফোনালাপের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন, কেবল অধ্যক্ষ হিসেবে নয়, তিনি শিক্ষক পদেরও পুরোপুরি অযোগ্য। গুরুতর নৈতিক স্খলনের দায়ে অনতিবিলম্বে তাকে বরখাস্ত করা প্রয়োজন।
বুধবার (২৮ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সাইফুল হক এ দাবি জানান। কয়েকদিন আগে ফাঁস হওয়া একটি ফোনালাপে ভিকারুননিসা অধ্যক্ষকে একসঙ্গের সঙ্গে আলাপচারিতায় হুমকি-ধমকি দেওয়াসহ শ্রবণ অযোগ্য কথাবার্তার বিষয়টি উঠে আসে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিবৃতিতে সাইফুল হক বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কীভাবে এরকম রুচিহীন পেশীশক্তি প্রদর্শনকারী ব্যক্তি অধ্যক্ষের মর্যাদাপূর্ণ গুরুদায়িত্বে নিয়োগ পান! এর ব্যাখ্যা কী?
তিনি বলেন, অধ্যক্ষ ফোনালাপে যে ভাষা ব্যবহার করেছেন তা অশ্লীল, রীতিমতো নজিরবিহীন। তিনি কেবল এই পদের মর্যাদাকেই ভূলুণ্ঠিত করেননি, তিনি এই বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, হাজার হাজার ছাত্রী ও তাদের অভিবাবকদের সম্মান ও মর্যাদাকেও নষ্ট করেছেন।
ক্ষোভের সঙ্গে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির এই নেতা উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধ্যক্ষ ও উপাচার্য পদে দলীয় আনুগত্যের ভিত্তিতে নিয়োগের কারণে দেশে সামগ্রিকভাবে শিক্ষার মান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশের মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। সরকার ও সরকারি দল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও নিরঙ্কুশ দখলদারিত্ব নিশ্চিত করতে যোগ্যতা বিবেচনা না করে দলীয় ব্যক্তিদেরকে নিয়োগ দিয়ে আসছে। এজন্য এদের অনিয়ম-দুর্নীতি ও চরম স্বেচ্ছাচারিতার শত শত অভিযোগ প্রকাশ হলেও এদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। এ কারণেও দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ক্রমাবনতি ঘটে চলেছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দলীয়করণের এই প্রক্রিয়া বন্ধ করতে ছাত্র-শিক্ষক-অভিবাবকসহ সচেতন দেশবাসীকে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানান বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর