নোয়াখালীতে শহিদ পুলিশ সদস্যদের সম্মানে ভাস্কর্য
২৮ জুলাই ২০২১ ১৯:২৭
ঢাকা: নোয়াখালীতে এসপি আব্দুল হাকিমসহ শহিদ পুলিশ সদস্যদের স্মরণে নির্মিত ভাস্কর্য ‘নির্ভীক’ উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। ভার্চুয়াল এক অনুষ্ঠানে একইসঙ্গে তিনি নবনির্মিত সুধারাম মডেল থানা, সোনাপুর পুলিশ ফাঁড়ি ও পুলিশ লাইন্স নারী ব্যারাক ভবন উদ্বোধন করেন।
বুধবার (২৮ জুলাই) দুপুরে পুলিশ সদর দফতর থেকে বেনজীর আহমেদ ভার্চুয়াল এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন। এসময় ‘মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ নোয়াখালী জেলা’ গ্রন্থের মোড়কও উন্মোচন করেন তিনি। বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রকাশিত বইটি সম্পাদনা করেছেন মো. আলমগীর হোসেন। গবেষণায় ছিলেন এ কে এম গিয়াস উদ্দিন মাহমুদ, আবু নাছের মঞ্জু ও মো. এনায়েত করিম।
অনুষ্ঠানে আইজিপি বলেন, আমরা হতভম্ব হয়ে দেখি— রাজাকারপুত্ররা দম্ভের সঙ্গে চিৎকার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলছে, ‘আমি রাজাকারপুত্র’। স্বাধীনতার মাত্র ৫০ বছরের মধ্যে এ রাজাকারের পুত্র-সন্তানরা কীভাবে এ দুঃসাহস পায়? মাত্র ৫০ বছরের মধ্যে গণহত্যার দোসরদের পরের প্রজন্মের এই আস্ফালন, এই দম্ভ চূর্ণ করতে হবে এ দেশের সাধারণ মানুষকে।
ড. বেনজীর বলেন, বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমাদের পূর্বসূরীরা যে দেশটিকে আমাদের জন্য উপহার দিয়েছেন, তাদের যে অনবদ্য আত্মত্যাগ, সে আত্মত্যাগের মর্যাদা ধরে রাখার অন্যতম উপায় হচ্ছে পরবর্তী প্রজন্মের সামনে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা। এটি একটি ঐতিহাসিক দায়, ঐতিহাসিক কর্তব্য।
দেশ ও মানুষের জন্য, স্বাধীনতার জন্য স্ত্রী-সন্তানসহ সপরিবারে নোয়াখালী জেলার তৎকালীন পুলিশ সুপার আবদুল হাকিমের মহান আত্মত্যাগের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন আইজিপি। মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী নোয়াখালী জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা ও বীর পুলিশ সদস্যদের অবদানও স্মরণ করেন তিনি।
আইজিপি বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এ দেশের মানুষ দুর্নিবার আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করেছিল। আমাদের সেই অহংকারের জায়গাগুলোকে আরও সুসংহত করতে হবে। এক্ষেত্রে এ ধরনের পুস্তক, ভাস্কর্য হতে পারে অন্যতম নিয়ামক, যেন আমরা কখনো ইতিহাস বিস্মৃত না হই। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে সবাইকে সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা কামাল, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি ও বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সভাপতি হাবিবুর রহমান, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান, চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইকবাল হোসেনসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।
পুলিশ সদর দফতর প্রান্তে অতিরিক্ত আইজি ড. মো. মইনুর রহমান চৌধুরী, অতিরিক্ত আইজি এস এম রুহুল আমিন, অতিরিক্ত আইজি মো. মাজহারুল ইসলাম, এটিইউ’র অতিরিক্ত আইজি মো. কামরুল আহসানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/ইউজে/টিআর
