জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে এডিপি বাস্তবায়ন ১০৪.২৭%
২৮ জুলাই ২০২১ ১৯:৫২
ঢাকা: করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যেও বিদায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরে এ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের এডিপি বাস্তবায়ন ছিল ১০৪ দশমিক ২৭ শতাংশ। একই সময়ে বিদ্যুৎ বিভাগ ৯৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন করেছে।
বুধবার (২৮ জুলাই) জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং বিদ্যুৎ বিভাগের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর জুলাই ২০২০ থেকে জুন ২০২১ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়। এসময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার মাঝে সমন্বয় করে প্রকল্প গ্রহণ করা উচিত। রোডম্যাপ অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়নে তদারকি বাড়ানো প্রয়োজন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় বিদ্যুৎ বিভাগ এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি সন্তোষজনক। মে মাসেই যেন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়— এই রোড ম্যাপ বাস্তবায়ন করতে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক হয়ে কাজ করা প্রয়োজন। এডিপি বাস্তবায়নে আরএডিপি বরাদ্দের শতভাগ বা সর্বোচ্চ বাস্তবায়নের জন্য সংস্থা প্রধানসহ সব প্রকল্প পরিচালককে জোর প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে।
সভায় জানানো হয়, বিদ্যুৎ বিভাগে ২০২০-২১ অর্থ বছরের আরএডিপিতে ২৪ হাজার ৭৬৮ কোটি ২২ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। অর্থ বিভাগ নির্ধারিত ব্যয়মীসা ছিল মোট ২৩ হাজার ৬১৩ দশমিক কোটি ২১ লাখ টাকা। জুন ২০২১ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে মোট ২৩ হাজার ৭৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আরএডিপি বরাদ্দ অনুযায়ী জুন ২০২১ পর্যন্ত ব্যয়ের শতকরা হার ৯৩ দশমিক ১৮ শতাংশ। অন্যদিকে সিলিং অনুযায়ী জুন ২০২১ পর্যন্ত ব্যয়ের শতকরা হার ৯৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ। এই অর্থবছরে বিদ্যুৎ বিভাগ মোট ৯৭টি (বিনিয়োগ ৮২টি, টিএ ১০টি ও নিজস্ব অর্থায়নে পাঁচটি) প্রকল্প বাস্তাবায়ন করছে।
সভায় আরও জানানো হয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ২০২০-২১ অর্থ বছরে মোট ৩০টি (জিওবি ও বৈদেশিক সাহায়তাপুষ্ট আটটি, নিজস্ব অর্থায়নে ১৬টি ও জিডিএফ ছয়টি) প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এই অর্থ বছরের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে আরএডিপি বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ৯৫৮ কোটি ৪৬ রাখ টাকা। কিন্তু ব্যয় হয়েছে ৩ হাজার ৮৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ এডিপি’র আর্থিক অগ্রগতি ১০৪ দশমিক ২৭ শতাংশ।
ভার্চুয়াল সভায়, বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান, পিডিবির চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন, আরইবির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন (অব.), পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেনসহ অন্যান্য দফতর প্রধানরা সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।
সারাবাংলা/জেআর/টিআর