Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আফগানিস্তান বিষয়ে চীনের জড়িয়ে পড়া ইতিবাচক হতে পারে: ব্লিনকেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৯ জুলাই ২০২১ ১৯:১৫

আফগানিস্তান ইস্যুতে চীনের জড়িয়ে পড়ার বিষয়টি ‘ইতিবাচক হতে পারে’ বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্তোনি ব্লিনকেন। ভারত সফরকালে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিবিসির খবর।

এর আগে বুধবার (২৮ জুলাই) আফগানিস্তানের উগ্রবাদী গোষ্ঠী তালেবানের এক প্রতিনিধিদল চীন সফর করে। সে সময় তারা চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েন ই’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় ওয়েন ই আফগানিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়ায় তালেবানকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে দেখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে সক্রিয় পূর্ব তুর্কিস্তান ইসলামি আন্দোলন দমনে তালেবানের কাছে সহায়তা চান তিনি’।

বিজ্ঞাপন

বুধবার তালেবানের মুখপাত্র নাইম মোহাম্মদ এক টুইটা বার্তায় জানান, প্রতিনিধিদলকে চীন বলেছে, আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করবে না তারা, তবে সমস্যা সমাধান করে আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করতে বেইজিং প্রস্তুত।

এসব বিষয় নিয়ে ভারতের সাংবাদিকরা অ্যান্তোনি ব্লিনকেনকে প্রশ্ন করেন। প্রশ্নের জবাবে ব্লিনকেন বলেন, ‘চীন যদি বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং সত্যিকারের প্রতিনিধিত্বশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার চায়—তাহলে এটি (আফগানিস্তান ইস্যুতে বেইজিংয়ের জড়িয়ে পড়া) ইতিবাচক  হতে পারে’।

ব্লিনকেন বলেন, ‘তালেবান সামরিক শক্তি দিয়ে আফগানিস্তান দখল করে ইসলামি আমিরদের পুনরুত্থান ঘটাক এটা কেউই চায় না’। এসময় ব্লিনকেন তালেবানকে সামরিক শক্তি প্রয়োগের পথ ছেড়ে আলোচনার টেবিলে বসে শান্তিপূর্ণ সমাধানে আসার তাগিদ দেন।

বিজ্ঞাপন

তুর্কিস্তান ইসলামিক আন্দোলন দমনে তালেবানের সহায়তা চাইলো চীন

উল্লেখ্য, আফগানিস্তানের সঙ্গে চীনের সীমান্ত যোগাযোগ রয়েছে। চীন সীমান্তে একমাত্র আফগান শহর ‘ওয়াখান’ জুলাইয়ের শুরুতেই দখল করে নিয়েছিল তালেবান।

আফগানিস্তান থেকে টানা ২০ বছর পর ন্যাটো ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পরপর দেশটির দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠে তালেবান। প্রতিদিন দেশের নানা অঞ্চল দখল করে নিচ্ছে উগ্রবাদী গোষ্ঠীটি। এমন পরিস্থিতিতে আফগানিস্তান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তালেবানের রাজনৈতিক সমঝোতা করিয়ে দেওয়া চেষ্টা করছে ইরান, চীন, পাকিস্তানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলো।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রও তালেবানের সঙ্গে এক সমঝোতার ভিত্তিতে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শর্ত ছিল, আফগানিস্তানে বিদেশি কোনো জঙ্গি সংগঠনকে পৃষ্ঠপোষকতা করবে না তালেবান। তবে মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তান থেকে সরে যাওয়ার শুরু থেকেই সেদেশে সাধারণ নাগরিকদের উপর, বিশেষ করে কর্মজীবী নারীদের উপর সহিংস হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে সংগঠনটি। এসব কারণে তালেবান আদৌ তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে কি না— সে ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করছেন বিশ্লেষকরা।

সারাবাংলা/আইই

টপ নিউজ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর