বিধিনিষেধের ৭ম দিনে গ্রেফতার ৫৬৮, জরিমানা ১৩ লাখ

ফাইল ছবি

ঢাকা: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধের সপ্তম দিনে ৫৬৮ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২০৬ জনের তিন লাখ ৪০ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ ৪৩১টি গাড়ির বিপরীতে ৯ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই গ্রেফতার ও জরিমানা করা হয়। ডিএমপির মিডিয়া শাখার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ইফতেখারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানার হার বাড়ানো হয়েছে। যাতে এটা দেখে অন্যরা কোনো ঠুনকো কারণে ঘরের বাইরে বের না হয়।’

বিধিনিষেধের ষষ্ঠ দিনে ৫৬২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২০৮ জনের এক লাখ ৬১ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ট্রাফিক বিভাগ ৪৮৯টি গাড়ির বিপরীতে ১১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা করে।

পঞ্চম দিনে (২৭ জুলাই) ৫৫৫ জনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২৩৬ জনের ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৯৭৫ টাকা জরিমানা করে। এর পাশাপাশি ট্রাফিক বিভাগ ৪৯৭টি গাড়ির বিপরীতে ১১ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।

চতুর্থ দিন (২৬ জুলাই) রাজধানী থেকে ৫৬৬ জনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ১৬৪ জনের এক লাখ ২৬ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গ্রেফতার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানার বাইরেও ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ ৪৪৩টি গাড়ির বিপরীতে ১০ লাখ ২১ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।

বিধিনিষেধের তৃতীয় দিন ২৫ জুলাই ৫৮৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ২৩০ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালত এক লাখ ৯৫০ টাকা জরিমানা করে। এছাড়া ট্রাফিক বিভাগ ৫২১টি গাড়ির বিপরীতে ১২ লাখ ৭২ হাজার টাকা জরিমানা করে।

দ্বিতীয় দিন ২৪ জুলাই ৩৮৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ১৩৭ জনের ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৯৫ হাজার ২৩০ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ট্রাফিক বিভাগ ৪৪১টি গাড়ির বিপরীতে ১০ লাখ ৮৩ হাজার টাকা জরিমানা করে।

আর ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিন (২৩ জুলাই) ৪০৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন ভ্রাম্যমাণ আদালত ২০৩ জনের এক লাখ ২৭ হাজার ২৭০ টাকা জরিমানা করে। এছাড়া ট্রাফিক বিভাগ ৪৪১টি গাড়ির বিপরীতে ১০ লাখ ৬০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করে।

ডিএমপি জানিয়েছে, এত এত গ্রেফতার আর জরিমানাতেও অকারণে বাইরে বের হওয়া মানুষের সংখ্যা কমছে না, বরং প্রতিদিন বাড়ছে। মানুষ নিজের জায়গায় সচেতন না হলে ক্ষতিটা নিজের থেকে পরিবারের ওপর গিয়ে পড়বে। সচেতন না হওয়ার জন্যই দিন দিন মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

সারাবাংলা/ইউজে/পিটিএম

কঠোর বিধিনিষেধ জরিমানা