Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কঠোর বিধিনিষেধের অষ্টম দিনে ফাঁকা ঢাকা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৩০ জুলাই ২০২১ ১৩:৩৩

ঢাকা: সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় কঠোর বিধিনিষেধের অষ্টম দিনে রাজধানী অনেকটাই ফাঁকা। একইসঙ্গে বৃষ্টি হওয়ার কারণে অন্যান্য দিনের তুলনায় অলিগলিও ফাঁকা রয়েছে।

শুক্রবার (৩০ জুলাই) সকালে রাজধানীর চানখারপুল, শাহবাগ, সেগুনবাগিচা, গুলিস্তান, মতিঝিল এবং কাকরাইল ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

দেখা যায়, অন্যান্য দিন তথা কঠোর বিধিনিষেধের দিনগুলোতে রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কে যেমন যানবাহনের চাপ থাকে তেমনিভাবে জায়গায় জায়গায় মানুষের জটলাও থাকে। কিন্তু শুক্রবার তার কিছুই দেখা যায়নি। রিকশা চালকরাও অলস সময় পার করছেন। কোনো কোনো রিকশাচালক তো বলছেন, আজকে রিকশা জমার টাকাও দিতে পারবেন না।

শাহবাগে কথা হয় রিকশাচালক আশিকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, আমার গ্রামের বাড়ি রংপুর। পরিবারে বাবা-মাসহ ৬জন সদস্য। এই রিকশা চালিয়ে ২ সন্তানের পড়ালেখা করাই। বাবা মায়ের প্রতিদিন ১শ টাকার ওষুধ লাগে। পরিবারের খরচ আছে। ঢাকা শহরে আমার গ্যারেজ ভাড়া আছে। খাবার বিল আছে। সবমিলিয়ে প্রতিদিন আমার ৬-৭শ টাকা আয় করতে হয়। কিন্তু বিধিনিষেধে মানুষ নেই, তাই তেমন ভাড়াও নেই। আজকে তো জমার টাকাও হবে না। আমাদের কষ্ট কেউ দেখে না ভাই।

এদিকে শাহবাগ মোড়ে অন্যান্য দিন কমবেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দেখা মিললেও আজ সেটা দেখা যায়নি। দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে ট্রাফিক পুলিশদের। তাদের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সকাল থেকে আজকে রাস্তায় যানবাহন একদম কম। মানুষও নেই। আমরা এরপরও আছি, রাস্তায় দায়িত্ব পালন করছি। ঝড়বৃষ্টি যাই হোক আমাদের তো রাস্তায় থাকতেই হয়।

কাকরাইল মোড়ে গিয়ে দেখা যায় মূলসড়ক একদম ফাঁকা। অন্যান্যদিন যানবাহনের জটলা দেখা যায়। কিন্তু আজ তো সেখানে কিছুই নেই। পুলিশ বক্সে বসে আছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। তারা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। তারা বলেন, বসে আছি কারণ কোনো যানবাহন নেই। আর যানবাহন থাকলে তো আমাদের বসার কোনো অবস্থা থাকে না।

কাকরাইল মোড়ে বসে থাকা রিকশাচালক সোলায়মান বলেন, সকাল থেকে ৬০ টাকা ভাড়া পেয়েছি। সারাদিনের রিকশার জমা দেড়শ টাকা। এখন খাবো কি আর রিকশার জমার টাকা দেবো কি? আজকে এই অবস্থা হবে জানলে তো রিকশা নিয়ে বেরই হতাম না।

এদিকে কঠোর বিধিনিষেধের অষ্টম দিনেও নির্দেশনা বাস্তবায়নে মাঠে রয়েছে পুলিশ, সেনাবহিনী, বিজিবি ও র‍্যাব। মাঝে মধ্যে কয়েকটি জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহলও দেখা গেছে। মৎস্য ভবনের সামনে পুলিশের একটি টিমকে চেকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেখ গেছে।

সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা জানান, তারা কঠোরভাবে মনিটরিং করছেন। যারা রাস্তায় বের হচ্ছেন তারা কেন বের হচ্ছেন, কিসের জন্য বের হচ্ছেন সবকিছু জানতে চাওয়া হচ্ছে। যারা উত্তর দিতে পারছেন তাদেরকে যেতে দেওয়া হচ্ছে। তবে শুক্রবার রাস্তায় মানুষের চাপ নেই। কিছু কিছু মোটরসাইকেল দেখা যাচ্ছে। তারা কোথায় যাচ্ছেন সেগুলো জানার পর ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। আর সদুত্তর দিতে না পারলে মামলা। সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত একটা মামলা দেওয়া হয়েছে।

সারাবাংলা/এসজে/এসএসএ

কঠোর বিধিনিষেধের অষ্টম দিন টপ নিউজ ফাঁকা ঢাকা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর