উপ-সহকারী কৃষি অফিসারের বিরুদ্ধে সরকারি সার বিক্রির অভিযোগ
৩০ জুলাই ২০২১ ১৮:৩১
নড়াইল: জেলার সদর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি অফিসার পরিতোষ মালাকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রণোদনা কর্মসূচির সার, বীজ দেওয়ার তালিকা করছেন।
অভিযোগ উঠেছে, গ্রামের সাধারণ কৃষকদের নগদ টাকা, সার ও বীজ দেওয়ার কথা বলে ভোটার আইডি ও ছবি নিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে সার তুলে বাহার এন্টারপ্রাইজে বিক্রি করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে তালিকা করার কথা থাকলেও এই নির্দেশনা মানা হয়নি।
জানা গেছে, জেলায় সর্বমোট ৩ হাজার ৫০০ জন কৃষককে (উফসি) ও হাইব্রিড ধানের বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে।
হবখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজুর ইসলাম চঞ্চল বলেন, ‘সার বিতরণ করার নামে সরকারের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। কৃষকদের এই সার সরাসরি চলে গেছে কালো বাজারে। কৃষকের নাম থাকলেও মিল হয়নি ছবিতে। যে স্বাক্ষর দিয়ে সার তোলা হয়েছে সেগুলো কৃষকের না।’
উপ-সহকারী কৃষি অফিসার পরিতোষ মালাকার এসব অভিযেগের বিষয়ে বলেন, ‘দুই-একটা ছবি এদিক-ওদিক হতে পারে। আর হবখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একজন দুর্নীতিবাজ, তাই ওনাকে বাদ দিয়ে আমি তালিকা প্রণয়ন করেছি।’
সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. জাহিদুল ইসলাম বিশ্বাস জানান, হবখালী থেকে কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই সার বাজারে বিক্রি হচ্ছে কি না আমি জানি না।
নড়াইলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক দীপক কুমার রায় বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সারাবাংলা/এমও