পদ্মার ভাঙনে ঘরসহ ফসলি জমি বিলীন, আতঙ্কে শতশত পরিবার
৩০ জুলাই ২০২১ ২৩:১৮
মুন্সীগঞ্জ: জেলার টঙ্গীবাড়ী উপজেলার হাসাইল এলাকা-সংলগ্ন পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোতে হঠাৎ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে স্থানীয় শত শত পরিবারের বসতভিটা, মসজিদ, কবরস্থান ও প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ নানা স্থাপনা ঝুঁকিতে পড়েছে। তাই নদীর ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি এলাকাবাসীর।
শুক্রবার (৩০ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে ভাঙন শুরু হলে নদী-সংলগ্ন কয়েকশ মিটার এলাকার জমি ও আটটি বসতঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোতে কয়েক ঘণ্টায় ভাঙন কয়েকশ মিটার এলাকায় ছড়িয়ে পরে। ফলে একে একে বিলীন হয়ে যায় স্থানীয় চারটি পরিবারের আটটি বসতঘর।
ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে স্থানীয় আলম শেখের তিনটি, জিয়াসমিন বেগমের একটি, খোরশেদের দুটি ও নুর মোহাম্মদ দেওয়ানের দুটি ঘর ভেঙে পদ্মা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত আলম শেখ জানান, হঠাৎ করে ভাঙন শুরু হলে তার তিনটি বসতঘর একে একে নদীতে তলিয়ে যায়। এর মধ্যে কয়েকটি ঘরের অংশ কোনো রকমে উঠাতে পেরেছেন।
জিয়াসমিন বেগম বলেন, ‘ঢাকায় কাজ করি, স্বামী নেই। চার সন্তান নিয়ে একটি ঘরে থাকি। গতকাল আসছি ঢাকা থেকে। আজকে আমার ঘর বিলীন হয়ে গেল।’
আরেক নারী বলেন, ‘ঘরের মধ্যে ছিলাম, হঠাৎ ভাতিজা আইসা বলে চাচি নদী ভাঙতাছে। যদি তখন না বাইর হইতাম মা-মেয়ে ঘরের লগে (সঙ্গে) সবাই তলাই জাইতাম।’
ভাঙনে তলিয়ে গেছে খোরশেদ আলমের বসতঘর। তিনি বলেন, এত দ্রুত ভাঙন শুরু হয় যে, ঘরের চালের ড্রামটাও বের করতে পারিনি। সব নদীতে তলিয়ে গেছে।
উপজেলার হাসাইল বানারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ইব্রাহিম ঢালী জানান, যে ভাঙন দেখা দিয়েছে— তাতে করে দ্রুত ভাঙন রক্ষায় কাজ না করা হলে এলাকার হাজার হাজার মানুষের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা পারভীন বলেন, ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের মাধ্যমে নদী ভাঙনের বিষয়টি জানতে পেরেছি। ভাঙন সংলগ্ন এলাকার আশপাশের লোকজন ও বসতঘর সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সারাবাংলা/এনএস