সৈয়দ আশরাফের ম্যুরাল ভাঙচুরকারীদের শাস্তি দাবি আ.লীগ নেতাদের
৩১ জুলাই ২০২১ ০৯:১৪
ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মতো একজন আপসহীন সৎ রাজনীতিবিদের ম্যুরাল ভাঙচুরকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম একজন কীর্তিমান মানুষ। একজন সৎ আপসহীন দেশপ্রেমিক রাজনীতিকের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তার ম্যুরাল ভাঙার ধৃষ্টতা যারা দেখিয়েছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) কিশোরগঞ্জে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ম্যুরাল ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। রাত সাড়ে আটটা থেকে নয়টার মধ্যে দুর্বৃত্তরা ম্যুরালটি ভাঙচুর করে। কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের আখড়া বাজার ব্রিজ সংলগ্ন সৈয়দ নজরুল ইসলাম চত্বরে এ ম্যুরাল অবস্থিত।
এ ঘটনায় কিশোরগঞ্জ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে বিশেষ ক্ষমতা আইনে কিশোরগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেছেন। ইতোমধ্যেই পারভেজ নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একজনকে পাওয়া গেছে বলে শুক্রবার (৩০ জুলাই) নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু বকর সিদ্দিক।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক সারাবাংলাকে বলেন, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম একজন কীর্তিমান মানুষ। আপসহীন মানুষ। একজন সৎ দেশপ্রেমিক রাজনীতিকের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। যারা ম্যুরাল ভেঙেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।
ম্যুরাল ভাঙচুরকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছেন দলটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। তিনি শুক্রবার তার ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে এ শাস্তি দাবি করেন। হানিফ লিখেছেন, ‘সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে জনপ্রিয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। স্বল্পভাষী, মিষ্টভাষী, নির্লোভ, নিরহংকারী ব্যক্তি ছিলেন সৈয়দ আশরাফ। কখনো কারো বিরুদ্ধাচরণ করা অথবা কারো কোনো ক্ষতি করেছেন এমন নজির নেই। অথচ সেই মানুষটির ম্যুরাল ভাঙচুর করা হয়েছে। সৈয়দ আশরাফের জনপ্রিয়তাই কি এই ঘটনার মূল কারণ? মৃত আশরাফের জনপ্রিয়তায় এখনও অনেকে ভীত বলে মনে হচ্ছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এ বিষয়ে সকালে সাড়ে ১০টার দিকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারকে ফোন করে দোষীদের দ্রুত খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশনা দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর একজন বিশেষ সহকারী ফোন করে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসনকে এই নির্দেশনা দেন বলে জানা গেছে।
সারাবাংলা/এনআর/এএম