কারখানা চালুর আগে পরিবহন, ভ্যাকসিন, ঝুঁকি ভাতার দাবি
৩১ জুলাই ২০২১ ১১:৪৮
ঢাকা: করোনার উচ্চতর সংক্রমণের মধ্যে ও লকডাউন চলা অবস্থায় ১ আগস্ট থেকে রফতানিমুখি শিল্প-কারখানা চালু করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে ‘পোশাক শ্রমিকদের দ্বিমুখী সংকটে’ ঠেলে দেওয়ার নিন্দা এবং কারখানা চালুর আগে শ্রমিকদের জন্য পরিবহন, ভ্যাকসিন ও ঝুঁকি ভাতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আহসান হাবিব বুলবুল এবং সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ।
শনিবার (৩১ আগস্ট) এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার ১৩ জুলাই প্রজ্ঞাপন জারি করে ঘোষণা করেছিল ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউনে নিত্যপ্রয়োজনীয় জরুরি সেবা বাদে সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। ঈদের আগে এবং পরে সরকার একাধিকবার এই কথার পুনরুল্লেখ করেছে। বিশেষত শিল্প কলকারখানা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছিল। কিন্ত শিল্প মালিকদের চাপে গতকাল ৩০ জুলাই রাতে আকস্মিকভাবে ১ আগস্ট থেকে রফতানিমুখি শিল্প-কারখানা খোলা থাকবে বলে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে।
প্রজ্ঞাপনে শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফেরার জন্য পরিবহন এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক আয়োজন সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। ফলে চাকরি হারানোর ভয়ে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে গিয়ে আটকে থাকা লাখ-লাখ শ্রমিককে গণপরিবহন বন্ধ থাকা অবস্থায় দুভোর্গ আর ঝুঁকিকে সঙ্গী করে একদিনের মধ্যে কর্মস্থলে ফিরতে হবে। পরিবহন ও আনুষঙ্গিক আয়োজন ছাড়া সরকারের এ ঘোষণা একদিকে লাখ-লাখ শ্রমিককে যাত্রাপথের ঝুঁকি এবং অতিরিক্ত পরিবহন ব্যয়ের ক্ষতি, অন্যদিকে করোনা সংক্রমণ আর চাকরি হারানোর ঝুঁকির দিকে ঠেলে দিয়েছে।
আমরা গতবছর দেখেছি শিল্প মালিকরা ঢাকায় অবস্থানরত শ্রমিকদের দিয়ে কারখানা চালু করার অনুমতি নিয়ে কীভাবে গ্রামে অবস্থানকারী শ্রমিকদের ফোন করে চাকুরিচ্যুতির ভয় দেখিয়ে কাজে যোগ দিতে বাধ্য করেছিল। আগের এই অভিজ্ঞতার পরেও সরকার এ ধরনের সিদ্ধান্ত, শ্রমিকদের স্বার্থ ও সুরক্ষা বিবেচনা না করার আর একটি নজির।
নেতৃবৃন্দ মালিকদের স্বার্থ রক্ষায় সরকারের একতরফা অবস্থানের নিন্দা জানান এবং শিল্প-কারখানা চালুর আগে শ্রমিকদের জন্য পরিবহন ও টিকা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ঝুঁকি ভাতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে প্রশ্ন করেন যে, শ্রমিকদের কি জীবিকার জন্য জীবন হারাতে হবে?
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে