৫ আগস্টের পর বিধিনিষেধ কঠোর থাকছে না
৩১ জুলাই ২০২১ ১৩:৫৭
ঢাকা: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত যে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, তা শিথিল করার চিন্তা করছে সরকার। মানুষের জীবন-জীবিকার কথা চিন্তা করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনার ওপর। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শনিবার ( ৩১ জুলাই) জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী সারাবাংলাকে এ সব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ১ আগস্ট থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা খুলে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কঠোর বিধিনিষেধ মানে সবকিছু বন্ধ থাকবে। এখন শিল্প কারখানা যেহেতু খুলে যাচ্ছে তাহলে তো আর বিধিনিষেধ কঠোর থাকল না।’
শিল্প কারখানা খুলে দেওয়ার খবরে ঢাকামুখী মানুষের ঢল দেখা যাচ্ছে, এতে করে সংক্রমণ বাড়বে না? জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার করে বলে দিয়েছি, যে সকল কর্মী ঢাকাতে আছে, বিশেষ করে কারখানার আশেপাশে রয়েছেন তাদের দিয়ে কাজ করাবে। শিল্প মালিকরাও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা ঢাকাতে থাকা কর্মীদের নিয়ে কাজ শুরু করবেন এবং যারা বাড়িতে গেছেন তাদের চাকরি হারাবে না না। মালিকরা পর্যায়ক্রমে ওই সকল শ্রমিকদের ঢাকায় নিয়ে আসবেন।’
তিনি বলেন, ‘বিদেশি ক্রেতারা যে পণ্যের অর্ডার করেছে তা সময়মতো না দিতে পারলে সেগুলো বাতিল হওয়ার আশংকা তৈরি হয়, সেসব দিক বিবেচনা করেই খোলা রাখার কথা বলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিজিএমইএ সভাপতি গণমাধ্যমে বলেছেন, কীভাবে তারা কারখানা পরিচালনা করবেন। তারা বলেছেন এখানে কোনো কর্মীকে ছাঁটাই করবেন না। যারা ভীর করে ঢাকা ফিরছেন, তারা হয়তো চাকরি হারানোর ভয়ে ফিরছেন। কিন্তু তাদের চাকরি যাবে না এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’
৫ আগস্টের পরও বিধিনিষেধ চলবে কীনা, সে প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কঠোর বিধিনিষেধ মানে সবকিছু বন্ধ থাকবে যেহেতু শিল্প কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। তাহলে তো কঠোর থাকল না। শিল্প কারখানাও ধাপে ধাপে খুলে দেওয়া হবে। অন্যান্য অফিস পুরো খুলবে নাকি সীমিত পরিসরে খোলা রাখা যাবে, সেসব বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ৩ কিংবা ৪ আগস্ট এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার ওপরে।’
এদিকে করোণাভাইরাস সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি আরো দশ দিন কঠোর বিধিনিষেধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সব কিছু মাথায় আছে। সেজন্য একটু সময় নিয়ে প্রকাশ করব। অফিস আদালত খোলা যেতে পারে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরামর্শ দেখতে হবে। সব কিছুর সমন্বয় আমাদের করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সংক্রমণ কমানো আমাদের মূল লক্ষ্য। কী উপায়ে কাজ ঠিক রাখা যায়, আবার সংক্রমণ কমানো যায়, এমন সকল বিকল্প উপায় চিন্তা করা হচ্ছে। ব্যবস্থা নিতে একটু সময় লাগবে।’
উল্লেখ্যে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত এপ্রিল থেকে ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ দিয়ে আসছে সরকার। সবশেষ ২৩ জুলাই থেকে পরবর্তী দুই সপ্তাহের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়। যা শেষ হচ্ছে ৫ আগস্ট মধ্য রাতে।
সারাবাংলা/জেআর/একে