বগুড়ায় আ.লীগ নেতা রকি হত্যাকাণ্ডে প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার ৭
৩১ জুলাই ২০২১ ১৭:২৪
বগুড়া: জেলা সদরের ফাঁপোড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ন আহবায়ক মমিনুল ইসলাম রকি হত্যা মামলার প্রধান আসামি গাওসুল আজমসহ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। নিহত রকি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ইউপি) নির্বাচিত হলে এলাকায় আধিপত্য কমে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই আসামিরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে বলে জানিয়েছে র্যাব।
শনিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে বগুড়ার র্যাব কার্যালয়ে কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন— সদরের ফাঁপোড় গ্রামের মো. আব্দুল মজিদের ছেলে ও মামলার প্রধান আসামি মো. গাউসুল আজম (২৮), একই গ্রামের মো. রেজাউল করিমের ছেলে ফুয়াদ হাসান মানিক (২৯), কৈচরের মো. মহসিন আলীর ছেলে মো. মেহেদী হাসান (১৮), মো. আখের আলীর ছেলে মো. আরিফুর রহমান (২৮), মালগ্রামের মো. আলী জিন্নাহ ছেলে মো. আলী হাসান (২৮), কৈচরের মো. মাজেদ আলীর ছেলে মো. ফজলে রাব্বী (৩০) এবং বেলগাড়ী গ্রামের মো. রেজাউল করিমের ছেলে মো. আব্দুল আহাদ (২০)।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
এ বিষয়ে লে. কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ নেতা রকি গ্রেফতারকৃতদের চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকাণ্ডে বাঁধা দিয়ে আসছিলেন। আসন্ন নির্বাচনে রকি সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে গণসংযোগও করছিলেন। নির্বাচনে বিজয়ী হলে আসামিরা সুবিধা করতে পারবে না এবং এলাকায় তাদের প্রভাব কমে যাবে। এ কারণে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত মঙ্গলবার রাতে রকিকে ফাঁপোড় বাজারে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে রকির ছোট ভাই রুকু ইসলাম গাওসুল আজমকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন।
তিনি বলেন, গতকাল শুক্রবার রাতে রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার ছোট হাজিরপুর ফকিরগঞ্জ গ্রামের জনৈক মো. রমজান (২০) বাড়ি থেকে মামলার আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া আসামি গাউসুল আজম ও ফুয়াদ হাসান মানিকের দেওয়া তথ্যমতে— জেলার সদর থানাধীন ফাঁপোড় উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্ব দুয়ারী প্রধান ফটকের সামনে ফাঁকা জায়গায় অভিযান চালিয়ে ১টি বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন, গুলি, চাপাতি ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।
আব্দুল্লাহ আল মামুন আরও বলেন, আসামিরা দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসা, মাদক সেবন ও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল। নিহত আওয়ামী লীগ নেতা রকি গ্রেফতারকৃত আসামিদের এসব অনৈতিক কাজে বাধা প্রদান করতেন। এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করেন আসামিরা।
সারাবাংলা/এনএস