Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘মির্জা ফখরুলরা দেশের কোনো উন্নয়ন চোখে দেখতে পায় না’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৩১ জুলাই ২০২১ ১৭:৪১

ঢাকা: মির্জা ফখরুলরা দেশের কোনো উন্নয়ন চোখে দেখতে পায় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, তারা যখন বলে দেশে অর্থনৈতিকভাবে লুটপাট হচ্ছে, তখন আমার কাছে মনে হয়- ভুতের মুখে রাম নাম।

শনিবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত চট্টগ্রামে করোনা রোগী ও মৃতদেহ পরিবহনের জন্য গাউসিয়া কমিটির কাছে অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর এবং করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মসূচিটি ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘আজ বিএনপি নেতারা বড় বড় কথা বলে। অথচ তারা দেশে লুটের রামরাজ্য কায়েম করেছিল। তারা লুটপাট করে দেশকে ধ্বংস করে দিয়ে গিয়েছিল। সেই দেশ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। মির্জা ফখরুলরা বাংলাদেশের কোনো উন্নয়ন চোখে দেখতে পায় না।’

তিনি বলেন, ‘আজ সারাবিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশও করোনায় আক্রান্ত। বাংলাদেশ কোনো বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয়। বাংলাদেশেও করোনা আক্রমণ করছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জীবন ও জীবিকার স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে পেরেছে। সমস্ত উন্নত দেশ যখন মুখ থুবড়ে পড়েছে, স্বাস্থ্যখাত যখন হতবিহ্বল, সেই মুহূর্তে বাংলাদেশে জীবন ও জীবিকা উভয়ই স্থিতিশীল রেখে দেশ পরিচালনা করে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। অর্থনৈতিক প্রবাহ ঠিক রাখার জন্য একটি স্বাভাবিক পর্যায়ে লকডাউন দিয়ে চলছে দেশ।’

বিজ্ঞাপন

নানাক আরও বলেন, ‘গত বছরের মার্চের মাঝামাঝিতে যখন বাংলাদেশ করোনা আঘাত হানে তখন থেকে আওয়ামী লীগ জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারাদেশের দুঃস্থ মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। লকডাউন পরিস্থিতিতেও আওয়ামী লীগের সব সহযোগী সংগঠন মানুষের পাশে গিয়ে দাড়িয়েছে। লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।’

দলের সহযোগী সংগঠনের মানবিক কার্যক্রমের প্রশংসা করে যুবলীগের সাবেক এই চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘গত বছর যখন ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল, লকডাউনে সারাদেশে যখন স্থবির, যখন কৃষক ধান কাটার কোনো শ্রমিক পাচ্ছিল না, তখন মাননীয় নেত্রী শেখ হাসিনা সংগঠনের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, মাঠ থেকে ধান কেটে কৃষকের গোলায় পৌঁছে দিতে হবে। এই কাজেও বাংলাদেশ কৃষক লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ দায়িত্ব পালন করেছে।’

করোনার ছোবলে মায়ের মৃত্যুতে সন্তান যখন কাছে যায় না, পিতার মৃত্যুতে সন্তান যখন কাছে যায় না- তখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সেই মরদেহ দাফন-কাফনের দায়িত্ব পালন করেছে বলেও যোগ করেন তিনি।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট এবিএম রিয়াজুল কবির কাওছার, সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপকমিটির সদস্য ডা. হেদায়েতুল ইসলাম বাদল, আখলাকুর রহমান মাইনু, হাসিবুর রহমান বিজন, হারুনর রশীদ, আব্দুল বারেক, মাহবুবুর রশীদ, আরিফুল্লাহ সরকার, আকাশ জয়ন্ত, ইঞ্জিনিয়ার আবুল কাশেম সিমান্ত, রাশেদুল ইসলাম, ঈদ্রিস আহমেদ মল্লিক, আমিনুল ইসলাম মাতুব্বর, তাজুল ইসলাম, ইমরান সোনার, ফারুকুজ্জামান প্রমুখ।

সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম

জাহাঙ্গীর কবির নানক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর