ঢাকা: রাজধানীর সদরঘাটে সকাল থেকে মানুষের ঢল দেখা গেছে। লঞ্চগুলো ফিরছে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি যাত্রী নিয়ে। একইসঙ্গে যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। তারা বলছেন, কোন কোন লঞ্চে মাঝ নদীতে ইঞ্জিন বন্ধ করে দিয়ে বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
রোববার (১ আগস্ট) সকালে রাজধানীর সদরঘাটে গিয়ে এসব জানা গেছে।
সরেজমিনে সদরঘাটে দেখা যায়, যেসব লঞ্চ আসছে সেগুলোর কোনটিতেই দাঁড়ানোর জায়গা নেই। রফতানিমুখী শিল্প কারখানা খোলায় শ্রমিকদের আসতে হচ্ছে এভাবেই।
এর আগে, গতকাল সন্ধ্যায় সরকার থেকে ঘোষণা দেওয়া হয় গার্মেন্টস খোলায় শ্রমিকদের কথা বিবেচনা করে গণপরিবহন এবং লঞ্চ রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে। কিন্তু যাত্রীদের বেশি চাপ থাকায় বিআইডাব্লিউটিএ ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে সোমবার সকাল পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন করা হবে।
চাঁদপুর থেকে এসেছেন গার্মেন্টস কর্মী রাশেদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘চাঁদপুর থেকে ঢাকার লঞ্চ ভাড়া যা, তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। কোন কোন লঞ্চে মাঝপথে ইঞ্জিন বন্ধ করে বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। ফলে আমরা নিরুপায়।’
বরিশাল থেকে সকালে এসেছেন সাবের হোসেন। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘ভাড়া বেশি, যাত্রীও আনা হয়েছে কয়েকগুণ বেশি। এখন গার্মেন্টস খোলা তাই বাধ্য হয়েই আসতে হয়েছে। অফিস থেকে বলা হয়েছে আজই জয়েন করতে হবে। আর কাল জয়েন না করলে চাকরি থাকবে না। তাই যত কষ্ট হোক আমাদের ফিরতেই হয়েছে।’
ভোলা থেকে এসেছেন মুন্নী, তিনিও গার্মেন্টসকর্মী। সারাবাংলাকে বলেন, ‘যেভাবে লঞ্চে করে আসতে হয়েছে সেটা আর বলার কিছু নেই। পরশুদিন রাতে অফিস থেকে বলা হয়েছে ঢাকায় আসতে। এরপর গাড়ি-লঞ্চ সব বন্ধ। গতকাল সন্ধ্যায় জানলাম লঞ্চ খোলা এরপর লঞ্চে করে ঢাকায় আসা। কিন্তু ভাড়া তো দ্বিগুণেরও বেশি।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডাব্লিউটিএ) পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা) মুহাম্মদ রফিকুর ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘সদরঘাটে লঞ্চে যাত্রীদের ব্যাপক চাপ। তাই আমরা লঞ্চ চলাচল অব্যাহত রাখছি। আগামীকাল সকাল পর্যন্ত লঞ্চ চলবে।’