ই-জিপিতে দরপত্রের সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়াল
১ আগস্ট ২০২১ ১৭:৩৩
ঢাকা: ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) সিস্টেমে আহ্বান করা দরপত্রের মোট সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। চলতি বছরের ১ আগস্টের হিসাব অনুযায়ী এই সংখ্যা ৫ লাখ ৩৮টি। আর ই-জিপিতে আহ্বান করা দরপত্রের মোট মূল্য দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ লাখ ১০ হাজার ৪৯৯ কোটি টাকা।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় বলছে, মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) চালু করা এই ই-জিপি সিস্টেমের জন্য এটি বড় একটি সাফল্য। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতেও ই-জিপি চালুর ফলে সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়া চালু রাখা সম্ভব হয়েছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তরা বলছেন, ই-জিপি সেবা চালু থাকায় ক্রয়কারী ও দরদপত্রদাতাদের কোনো ধরনের সমস্যা হচ্ছে না। সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘণ্টা ই-জিপি হেল্পডেস্কও চালু রয়েছে। এর ফলে ক্রয়কারী সংস্থা ও দরপত্রদাতাদের অংশগ্রহণে ই-জিপিতে দরপত্র আহ্বানে নতুন মাইলফলকে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।
এর আগে, সরকারি সেবা ডিজিটাইজেশনের অংশ হিসেবে ২০১১ সালের ২ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে ই-জিপি সেবা উদ্বোধন করেন।ওই বছরই চারটি বড় ক্রয়কারী সংস্থায় পরীক্ষামূলকভাবে অনলাইন টেন্ডারিং চালু হয়। তাতে সাফল্য মিললে ২০১২ সাল থেকে সরকারি বিভিন্ন ক্রয়কারী সংস্থা সিপিটিইউ উদ্ভাবিত ই-জিপি বাস্তবায়ন শুরু করে। ২০২০ সালের ২২ জুলাই ই-জিপি সিস্টেমে দরপত্র আহ্বানের সংখ্যা চার লাখের মাইলফলক স্পর্শ করে। ওই দিন ই-জিপিতে আহ্বান করা দরপত্রের মোট মূল্য দাঁড়ায় চার লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা।
চলতি বছরের ১ আগস্ট পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৩৬৫টি সরকারি ক্রয়কারী সংস্থার মধ্যে হাজার ১৩৬২টি ই-জিপি সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে। আর ই-জিপিতে নিবন্ধিত দরদাতার সংখ্যা ৮৮ হাজার ২৯৪টি। ক্রয়কারী সংস্থা ও দরপত্রদাতা— উভয় পক্ষই তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক এই সেবার সুফল পাচ্ছে। এর মাধ্যমে ভোগান্তি কমে দরপত্র প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুত হওয়ার পাশাপাশি সময় ও অর্থের ব্যাপক সাশ্রয় হচ্ছে। সরকারি ক্রয় ডিজিটাইজিংয়ের ক্ষেত্রে সহায়তা দিয়ে আসছে বিশ্বব্যাংক।
দেশের অর্থনীতির জন্য সরকারি ক্রয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বর্তমানে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মূসচির (এডিপি) প্রায় ৮৫ শতাংশ ও জাতীয় বাজেটের প্রায় ৪৫ শতাংশ অর্থ সরকারি ক্রয়ে ব্যয় হয়।
সারাবাংলা/জেজে/টিআর