কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদ দিয়ে বিকল্প পথে ঢাকায় ফেরা মানুষের ঢল
১ আগস্ট ২০২১ ১৯:২১
কুড়িগ্রাম: শিল্প কল-কারখানা খুলে দেওয়ায় চাকরি বাঁচানোর তাগিদে করোনা ও কঠোর লকডাউন উপেক্ষা করে জনস্রোত নেমেছে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের রমনাসহ বিভিন্ন ঘাটে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে হাজার হাজার শ্রমিক দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে গত তিনদিন ধরে বিকল্প পথে ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকা ও অন্য জলযানে চড়ে ঢাকা ফিরছেন।
যাত্রীদের অধিকাংশের মুখে মাস্ক নেই ও স্বাস্থ্যবিধিও মানছেন না কেউ। পা ফেলানোর জায়গা নেই নৌকা কিংবা নৌযানগুলোতে। অনেকে নৌকার বাইরে ড্রেজারেও চরেও পার হচ্ছেন নদী।
রোববার (১ আগস্ট) সকাল ৬টা থেকে দুপুর পর্যন্ত ৭ থেকে ৮টি নৌকা অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে রৌমারীর দিকে যায়। রৌমারী থেকে জামালপুর হয়ে তাদের গন্তব্যস্থল হবে ঢাকা। এ অবস্থা চিলমারীর রমনাঘাটেই শুধু নয় জোরগাছ ঘাট ও ফকিরেহাট ঘাট এলাকায়ও চলছে নৌকা দিয়ে যাত্রী পারাপার।
এছাড়াও ওই উপজেলার রাজারভিটা ও সোনারীপাড়া এলাকা থেকে আলাদাভাবে নৌকা ভাড়া করে ঢাকামুখী হচ্ছেন বহু শ্রমিক। এদিকে দ্রুত ঢাকা ফেরার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে যাত্রীদের নিকট থেকে নৌকা চালকরা আদায় করছে দ্বিগুণ ভাড়া।
স্থানীয়রা জানান, চলমান লকডাউনে হঠাৎ করে শিল্পকারখানা খোলার নির্দেশ শুনে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে কর্মজীবী কুড়িগ্রামের সবকটি উপজেলার ও লালমনিরহাট জেলার গার্মেন্টস শ্রমিকরা হুমড়ি খেয়ে এ নদে ভিন্ন পথে ঢাকা যেতে শুরু করেছে। শনিবার থেকে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান তারা।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘এভাবে জীবনের হুমকি নিয়ে পারাপার বন্ধ করতে উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে সেখানে নৌ পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএর লোকজনকেও বলা হয়েছে যাতে কোন দুর্ঘটনা কিংবা স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন না হয়।’
সারাবাংলা/এমও