Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সুপারিশ উপেক্ষিত হওয়ায় অসহায় বোধ করছেন ডিজি হেলথ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১ আগস্ট ২০২১ ২৩:০০

অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ফাইল ছবি

ঢাকা: দেশে চলমান কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিধিনিষেধ বাড়ানোর সুপারিশ উপেক্ষা করে শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফেরার ঘটনায় অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম।

রোববার (১ আগস্ট) দুপুরে মহাখালীর বিসিপিএস অডিটোরিয়াম হলে ১ম বর্ষ এমবিবিএস শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে এমন অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে ১৪ দিনের বিধিনিষেধ চালু রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটা ভেঙে ৩১ জুলাই থেকে শ্রমিকদের বিভিন্ন স্থানে তাদের কর্মস্থলে যোগ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। শুধুমাত্র এলাকায় থাকা শ্রমিকদের দিয়ে গার্মেন্টস খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হলেও বাস্তবে তা ঘটেনি। এমন অবস্থায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কাজে যোগ দিতে পায়ে হেঁটে ও নানাভাবে আসছে শ্রমিকরা। পরবর্তী সময়ে সড়ক ও নদীপথে সীমিত আকারে বাস, লঞ্চ চালুর সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানানো হয়।

সবকিছু মিলিয়ে সংক্রমণ বাড়তে পারে কি না এবং এমনটা কেন করা হলো?— গণমাধ্যমকর্মীদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, ‘আমাদের সুপারিশ ছিল। কিন্তু সেটা আমাকে দিয়ে আবার বলাচ্ছেন কেন? আমাকে ফাঁদে না ফেললে কি খুব সমস্যা হবে? এটা বাদ দেন।’

শ্রমিকদের এই ফিরে আসাতে সংক্রমণ বাড়বে কি না?— গণমাধ্যমকর্মীদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহম্মদ খুরশিদ আলম বলেন, ‘এই কোভিড পরিস্থিতিতে আমার চেয়ে আপনাদের অভিজ্ঞতা অনেক বেশি। দীর্ঘদিন মিডিয়া কাভারেজ দিচ্ছেন। মিডিয়াকে হ্যান্ডেল করছেন। আমি আপনাদের পরে সংযুক্ত হয়েছি।’ এ সময় গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারাই বলেন, যে প্রশ্নটা আমাকে করলেন এর উত্তর কী হবে? এরপরেই তিনি বলেন, ‘অবশ্যই বাড়বে। ফলাফল যেটা হবে সেটার জন্য আমাদের যতই দোষারোপ করা হোক না, এটা তো সত্যি, আমার সক্ষমতার সীমাবদ্ধতা রয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

হাসপাতালের বেডের সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা তো রাবার নয় যে, টানতে টানতে বড় হবে। বিছানা একটাও ফেলার জায়গা নাই, কোথায় আমি আর জায়গা দেব?’

কোভিড রোগীদের পাশাপাশি নন কোভিড রোগীরাও আছেন উল্লেখ করা স্বাস্থ্যের ডিজি বলেন, ‘নন কোভিড যে রোগীরা আছেন তাদের সেবাও ব্যাহত হচ্ছে। সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের মতো এত বড় একটা হাসপাতালকে টোটালটাই কোভিড করে দিয়েছি, তাতে কি সামাল দেওয়া যাচ্ছে? আজ একটা বিছানাও খালি নেই। রোগের উৎপত্তিস্থল যদি বন্ধ করতে না পারি, তাহলে হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বাড়িয়ে বা অন্যান্য সুবিধা বাড়িয়ে খুব কি লাভ হবে?’— প্রশ্ন রাখেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক।

সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম

অসহায় ডিজি হেলথ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর