মাদরাসা ভাঙচুরে মামলা, জামিনে বের হয়ে বাদী ও সাক্ষীদের হুমকি
২ আগস্ট ২০২১ ১৪:০৫
নেত্রকোনা: আদালত থেকে জামিন নিয়ে এসেই আসামিরা মামলার বাদী ও সাক্ষীদেরকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ভয়-ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
অব্যাহত প্রাণনাশের হুমকিতে মামলার বাদী ও সাক্ষীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সোমবার (২ আগস্ট) তারা জানমাল রক্ষায় স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগে জানা যায়, নেত্রকোনা জেলা পূর্বধলা উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নে মো. সামছুদ্দিনের সঙ্গে জমি ও তৎসংলগ্ন এবতেদায়ী মাদরাসার জায়গা নিয়ে একই গ্রামের মো. শাহ্জাহান গংদের বিরোধ চলছিল। এরই জেরে শাহ্জাহানরা গত ১৯ জুলাই বিকালে শামছুদ্দিনের দখলীয় জমিতে অনুপ্রবেশ করে এবতেদায়ী মাদরাসার টিনসেড ঘরটি ভেঙে ফেলে এবং মাদরাসাসংলগ্ন জমির রোপণ করা বিভিন্ন ফলজ ও বনজ গাছ কেটে ফেলে।
এসময় শামছুদ্দিনের ছেলে রবিকুল ইসলামসহ অন্যরা বাধা দিতে গেলে হামলাকারীরা তাদের মারপিট করে। তাদের হামলায় রবিকুল ইসলাম (৪২), তার গর্ভবতী স্ত্রী সেলিনা আক্তার (৩৮), মোজাম্মেল হক (৩০), মো. জাহিদুল ইসলাম (১৬), মোছাম্মৎ রাশিদা আক্তার (৪৮), মো. ফজলুল হক (৫৫), মো. মাহবুব (২২), এনামুল হক (২৮) আহত হয়। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে মো. শামছুদ্দিন বাদী হয়ে মো. শাহ্জাহান মিয়াসহ ১৬ জনকে আসামি করে ২৫ জুলাই পূর্বধলা থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলার গত ১ আগস্ট মামলার ১৩ জন আসামি নেত্রকোনা আদালত থেকে জামিন নিয়ে বাড়িতে এসেই মামলার বাদী ও সাক্ষীদেরকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য নানা ধরণের ভয়-ভীতি ও অব্যাহত প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
সারাবাংলা/এমও