জাতীয় শোক দিবসে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ আইজিপি’র
২ আগস্ট ২০২১ ২২:১৬
ঢাকা: ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশের সকল ইউনিট প্রধানদের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ। যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক অনুষ্ঠানসমূহ আয়োজন করা হচ্ছে কি না তার দিকে খেয়াল রাখারও নির্দেশ দেন আইজিপি।
সোমবার (২ আগস্ট) বিকেলে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে ভার্চুয়ালি সকল মেট্রোপলিটন, রেঞ্জ ও জেলার পুলিশ সুপারদের এ নির্দেশনা দেন আইজিপি। পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি মিডিয়া) মো. সোহেল রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আগস্ট আমাদের শোকের মাস। এ মাসে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে; রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী অনেক কার্যক্রম চালানো হয়েছে। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছে। ১৭ আগস্ট জেএমবি দেশের ৬৩টি জেলায় সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছে। এজন্য আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। সন্ত্রাসী কার্যক্রম, সর্বহারাদের অপতৎপরতা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রোপাগান্ডা ইত্যাদি বিষয়ে অত্যন্ত সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।
এসময় কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আইজিপি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান ‘জিরো টলারেন্স’। মাদকের সঙ্গে কোনো পুলিশ সদস্যের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হলে চাকরিচ্যুতিসহ তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আইজিপি বলেন, জনগণের দোরগোড়ায় পুলিশি সেবা পৌঁছে দেওয়ার একটি কার্যকর এবং জনপ্রিয় পদ্ধতি ‘বিট পুলিশিং’। ইতোমধ্যে ‘বিট পুলিশিং’ সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে উল্লেখ করে করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ‘বিট পুলিশিং’ চালু রাখার নির্দেশ দেন আইজিপি।
আইজিপি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যদের ভ্যাকসিন গ্রহণ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদেরকে নির্দেশনা প্রদান করেন। পুলিশ সদস্যদের করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য নিয়মিত ফোর্সকে ব্রিফ করতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন তিনি।
তিনি বলেন, বর্তমান অতিমারিতে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিক পুলিশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। মানুষের পাশে থেকে তাদের হৃদয় ও মন জয় করার এ সুযোগ কাজে লাগানোর কার্যক্রম অব্যাহত রাখাতে হবে।
আইজিপি বলেন, আমরা এমন একটি পুলিশ বাহিনী রেখে যেতে চাই, যেন অবসরে গেলে পুলিশকে নিয়ে গর্ব করতে পারি। দেশের জনগণ গর্ব ভরে পুলিশের সেবা গ্রহণ করতে পারে।
তিনি বলেন, বর্তমানে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে পুলিশের সকল স্থাপনা নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
সভায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/ইউজে/এসএসএ