কোভিশিল্ডের আরও ৬ লাখ ১৭ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন দেশে
৩ আগস্ট ২০২১ ১৯:২০
ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে যুক্ত হলো আরও ছয় লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ ডোজ কোভিশিল্ডের ভ্যাকসিন। কোভ্যাক্সের আওতায় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার পেটেন্টে তৈরি এই ভ্যাকসিন জাপান থেকে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) বিকেল সোয়া ৩টায় ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় ভ্যাকসিন। সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ।
এ দিন ভ্যাকসিন গ্রহণের সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা।
আজকের ছয় লাখ ১৭ হাজার নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত তিন দফায় জাপান থেকে কোভিশিল্ডের ভ্যাকসিন এসেছে ১৬ লাখ ডোজ। এর আগে, কোভ্যাক্সের আওতায় জাপান থেকে ২৪ জুলাই ২ লাখ ৪৫ হাজার ২০০ ডোজ কোভিশিল্ডের ভ্যাকসিন ঢাকায় আসে। পরবর্তীতে ৩১ জুলাই বিকেলে ৭ লাখ ৮১ হাজার ৩২০ ডোজ ভ্যাকসিন দেশে আসে। জাপান থেকে কোভিশিল্ডের ভ্যাকসিন আসার পরে ২ আগস্ট থেকে রাজধানীতে দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করা হয়েছে। ৭ আগস্ট থেকে সারাদেশে দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
এর আগে, দেশে প্রথম করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি শুরু হয় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন প্রয়োগের মাধ্যমে। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে সরকার তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন কেনে। মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে ছয় মাসে সেই ভ্যাকসিন পাওয়ার কথা ছিল। জানুয়ারিতে সেই ভ্যাকসিনের প্রথম চালানের ৫০ লাখ ডোজ এলেও ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় চালানে আসে ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন। এর বাইরে ভারত সরকার দুই দফায় ৩২ লাখ ডোজ কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন উপহার দিয়েছিল বাংলাদেশকে।
ওই এক কোটি দুই লাখ ডোজ ভ্যাকসিন নিয়ে দেশে ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি। কিন্তু ভারতে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি হলে দ্বিতীয় চালানের ২০ লাখ ডোজের পর সিরাম আর কোনো ভ্যাকসিন বাংলাদেশকে দেয়নি। ফলে এক পর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচিতেও ছেদ পড়ে।
এর পর সিনোফার্ম, মডার্না ও ফাইজার ভ্যাকসিন সংগ্রহ করে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি ফের শুরু করা গেলেও এক ডোজ কোভিশিল্ড নেওয়া অনেকেই এখনো ভ্যাকসিনের অপেক্ষায় আছেন। তাদের ভ্যাকসিন দিতেই নানামুখী তৎপরতা শুরু করে বাংলাদেশ সরকার।
উল্লেখ্য, ‘কোভ্যাক্স’র পূর্ণাঙ্গ রূপ হলো কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্লোবাল অ্যাকসেস ফ্যাসিলিটি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ছাড়াও উদ্যোগটির সঙ্গে রয়েছে কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশন এবং দাতব্য সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (জিএভিআই)। এ উদ্যোগের লক্ষ্য হচ্ছে, ভ্যাকসিন মজুত করে না রেখে ধনী-গরিব নির্বিশেষে সর্বোচ্চ ঝুঁকির দেশগুলোতে তা বণ্টন করার জন্য বিভিন্ন দেশের সরকারকে উৎসাহিত করা।
সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম