রোহিঙ্গা ইস্যুতে ‘ব্যাখ্যা’ দিয়ে নতুন বিবৃতি বিশ্বব্যাংকের
৩ আগস্ট ২০২১ ১৯:৫৯
ঢাকা: রোহিঙ্গা ইস্যুতে ‘রিফিউজি পলিসি রিভিউ ফ্রেমওয়ার্ক’ নিয়ে নতুন করে বিবৃতি দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এতে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর চাহিদা মোকাবিলায় তাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত সহায়তা করছে। আশ্রয় দেওয়া জনগোষ্ঠীর ওপর এর প্রভাব কমাতে বিশ্বব্যাংকও বাংলাদেশকে সহায়তা করছে। তাদের নীতিমালাটি মূলত জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তথ্যের ভিত্তিতে পর্যালোচনা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) বিশ্বব্যাংকের ওয়েবসাইটে এ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। এতে অবশ্য আগের মতোই রিফিউজি পলিসি ফ্রেমওয়ার্ক পর্যালোচনার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে, শরণার্থী ও আশ্রয় দেওয়া স্থানীয় জনগণের জন্য বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের কার্যকারিতা এবং প্রভাব মূল্যায়ন করাই এর উদ্দেশ্য। বিশ্বব্যাংকের যে ১৪টি সদস্য দেশ বর্তমানে বাস্তুচ্যুত জনসংখ্যার আবাসনের ব্যবস্থা করেছে, তাদের সবার জন্যই এই পর্যালোচনসা করা হয়েছে।
এর আগে, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের অবাধ কাজকর্মের সুযোগ দেওয়ার জন্য রিফিউজি পলিসি রিভিউ ফ্রেমওয়ার্কে প্রস্তাব দেয় বিশ্বব্যাংক। এতে বলা হয়, উদ্বাস্তুদের সমাজে অন্তর্ভুক্ত করা যায় কি না, সেটি খতিয়ে দেখতে হবে। এ বিষয়ে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়। পরে ফ্রেমওয়ার্কটি নিয়ে মতামত দিতে ১০ আগস্ট পর্যন্ত সময় চেয়ে নেয় সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।
কিন্তু বিশ্বব্যাংকের এ প্রস্তাব মেনে নিয়ে ঋণ নিলে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বদলে তাদের বাংলাদেশেই চিরতরে রেখে দিতে হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ কারণে ওই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বিপক্ষে মতামত দেওয়ার জন্য ইআরডিকে চিঠি দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রস্তাবনা পরিবর্তন না হলে উদ্বাস্তু সংক্রান্ত কোনো অর্থ বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে না নেওয়া কথাও বলা হয়েছে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
শরণার্থী নীতিমালা পর্যালোচনার উদ্দেশ্য বিষয়ে বিশ্বব্যাংক বিবৃতিতে বলছে, কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্য, অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন, জলবায়ুর ঝুঁকি মোকাবিলায় কার্যকর সড়কসহ মৌলিক অবকাঠামো, সৌর বিদ্যুৎ ও দুর্যোগ প্রস্তুতিতে সহায়তায় বাংলাদেশকে ৫৯ কোটি মার্কিন ডলার দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে বিশ্বব্যাংক। পাশাপাশি বিশ্বব্যাংকের নিজস্ব গবেষণা ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে কক্সবাজারের উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ ও অগ্রাধিকার কী, সেটিও বুঝতে সহায়তা করছে।
বিবৃতিতে বিশ্বব্যাংক আরও বলেছে, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের বিদ্যমান নীতি, অনুশীলন ও কর্মসূচির ওপর ভিত্তি করে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই নীতি পর্যালোচনা করেই বিশ্বব্যাংকের ফ্রেমওয়ার্কটি করা হয়েছে।
সারাবাংলা/জেজে/টিআর
বিশ্বব্যাংক রিফিউজি পলিসি রিভিউ ফ্রেমওয়ার্ক রোহিঙ্গা শরণার্থী