চট্টগ্রাম ব্যুরো: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে চট্টগ্রামের সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) দুপুরে নগরীর টাইগারপাসে চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ে ‘সিআরবিতে বেসরকারি হাসপাতাল করতে না দেওয়ার দাবিতে’ নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামের স্মারকলিপি গ্রহণ করে মেয়র একথা বলেন।
মেয়র রেজাউল বলেন, ‘সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সিআরবি একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্মারক। সিআরবির প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের হানি করে শুধু হাসপাতাল নয়, ইট-পাথরের কোনো স্থাপনা গড়ে তুলতে দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চট্টগ্রামের প্রতি টান আছে। তিনি ঐতিহ্য সচেতন ও প্রকৃতিপ্রেমী। এজন্য তিনি সারাবিশ্বে প্রশংসিত। আমরা জানি, একটি অশুভ চক্র আজ নানাভাবে সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে তৎপর। সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণ সেই অশুভ অপতৎপরতারই অংশ।’
‘আমরা হাসপাতাল চাই। তবে সিআরবিতে কোনোভাবেই নয়। হাসপাতালের জন্য সিআরবি ছাড়া আরও অনেক বড় পরিসরের জায়গা আছে। সিটি করপোরেশনেরও জায়গা আছে। চাইলে আমরা হাসপাতালের জন্য জায়গা দিতে পারব। কিন্তু তার আগে আমাদের নিশ্চয়তা দিতে হবে যে- সিআরবিতে কোনো হাসপাতাল হবে না। আর হাসপাতাল হতে হবে সাধারণ মানুষের সেবার জন্য, বিত্তবানদের জন্য নয়।’
মেয়র আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় ইতিহাস-ঐতিহ্যের অনেক হীরকখণ্ড ছড়িয়ে আছে। এখনে সিপাহী বিদ্রোহ, বৃটিশ বিরোধী সশস্ত্র লড়াইয়ে মাস্টারদা সূর্য সেনের বিপ্লবী কর্মকাণ্ড, ঐতিহাসিক ৬ দফা ঘোষণা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধসহ অনেক কালজয়ী ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল। এই গৌরবদীপ্ত ইতিহাসের স্থানগুলো শনাক্ত করে রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এসব স্থানে নতুন প্রজন্মের স্বার্থে ইতিহাসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ স্মারক স্থাপনা গড়ে তোলা হবে।’
নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামের কো-চেয়ারম্যান ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন সদস্য সচিব ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, কো-চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুচ, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী, যুগ্ম সদস্য সচিব রাশেদ হাসান, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু, স্বপন মজুমদার, সাংবাদিক আসিফ সিরাজ, সংস্কৃতিকর্মী অহিল সিরাজ, আবৃত্তিশল্পিী প্রণব চৌধুরী, ন্যাপ নেতা মিঠুল দাশগুপ্ত, শ্রমিক নেতা মো. সাইফুল, সাংবাদিক প্রীতম দাশ, সাবেক ছাত্রনেতা নুরুল আজিম রনি, মো. সাইফুদ্দিন, সাংবাদিক পার্থ প্রতিম বিশ্বাস, সাবেক ছাত্রনেতা তফাজ্জল হোসেন জিকু, নারী নেত্রী লায়লা আক্তার, সাহলো আবেদিন রিমা, সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম মুন্না, শ্রমিকলীগ নেতা গাজী জসিম উদ্দিন, তাপস দে, রাহুল দত্ত, টিটু দত্ত, সৌরভ শুভ্র।